কলকাতা : জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জের নির্বাচন ফের পিছিয়ে গেল। ১৬ মে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে। যদিও তা হচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে তবে এই ভোটগ্রহণ পর্ব আয়োজিত হবে বলে কমিশন নির্দেশিকা জারি করেছে। এদিকে, সোমবার সন্ধে থেকেই পশ্চিমবঙ্গে আদর্শ আচরণবিধি উঠে গেল বলেও জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।


জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ এই দুই কেন্দ্রের প্রার্থীদের করোনায় মৃত্যু হয়। যার জেরে নির্ধারিত নির্বাচনের দিনে ভোটগ্রহণ হয়নি সেই দুই কেন্দ্রে। পরে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ১৩ মে এই দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। পরে তা পিছিয়ে ১৬ মে করা হয়। তবে করোনা পরিস্থিতির জেরে আপাতত তা অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছোল।


গত ১৫ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছিলেন সামসেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেডাউল হক। তার পরের দিনই জঙ্গিপুরের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীকেও কেড়ে নিয়েছিল মারণ ভাইরাস। যার জেরে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ওই দুটি আসনে। তারপরে ১৯ এপ্রিল জানানো হয়েছিল জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে ভোট হবে ১৩ মে। পরে জানানো হয় ১৬ মে ভোটগ্রহণের কথা। কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জেরে তা ফের পিছিয়ে গেল।


বিধানসভা ভোটপর্বে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন খড়দার তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহাও। ২২ এপ্রিল তাঁর কেন্দ্রে ভোটের আগের দিন করোনা আক্রান্ত কাজল সিনহার অবস্থার অবনতির জেরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যার কয়েকদিন বাদে তিনি প্রয়াত হন। রবিবার ভোটগণনা সামনে আসতে দেখা যায় খড়দা আসনে ২৮ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন তিনি। কিন্তু তিনি প্রয়াত হওয়ায় ফের ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। কবে সেই নির্বাচন তা অবশ্য এখনও কিছু জানায়নি কমিশন।


বিধানসভা নির্বাচনপর্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন গোয়ালপোখরের তৃণমূল প্রার্থী গোলাম রব্বানি। চুঁচুড়ার তৃণমূল প্রার্থী অসিত মজুমদার। হোম আইসোলেশনে থাকার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন তারা। কিন্তু করোনাকালের মাঝে নির্বাচনের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি একাধিক রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীকেও সংক্রমিত করেছিল। 


স্বামী মৃত্যুকে শোকে ভেঙে পড়া কাজল সিনহার স্ত্রী নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে খুনের অভিযোগ করেছিলেন। শেষপর্বে কড়াকড়ি করলেও নির্বাচনের শুরুর দিকে করোনা রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা কমিশন নেয়নি বলেই পর্যবেক্ষণ ছিল কলকাতা হাইকোর্টের।