কলকাতা: বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ করলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। এদিন  দুপুরে কলকাতায় পৌঁছন তিনি। বিমানবন্দরেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও দলের নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে বৈঠক করেন নাড্ডা। পরে সাংবাদিকদের বলেন, দল আক্রান্ত কর্মীদের পাশে রয়েছে। 


এরপর দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের গোপালপুরে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে যান বিজেপি সভাপতি নাড্ডা। গত দুদিন আগে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ বিজেপির।তিনি আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন ও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। এরপর সোনারপুরেরই আরও একটি জায়গায় যান। সেখানে দলের এক কর্মী খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ।
নাড্ডার অভিযোগ, হামলার ঘটনায় আক্রান্তদের কাউকেই এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি। অথচ আক্রান্তরা হামলাকারীদের নাম জানিয়েছেন। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। 


বিজেপি সভাপতি বলেছেন, দলের এক-একজন কর্মীর পাশে রয়েছেন কোটি কোটি দলের কর্মী।তাঁদের আত্মবলিদান বৃথা যাবে না। 
 নাড্ডা বলেছেন, আক্রান্তদের সবার বাড়িতে যাবেন দলের নেতৃত্ব। তাঁদের জন্য ন্যায়বিচারের লড়াই লড়বে বিজেপি। 
তিনি বলেছেন,এভাবে অত্যাচার করলে বিজেপি চুপ করে বসে থাকবে না। গণতান্ত্রিক উপায়ে এর জবাব বিজেপি দেবে। বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে,মহিলাদের সুরক্ষা নেই।  আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে নজর না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তোষণ, তোলাবাজির রাজনীতিতে মদত দিচ্ছেন বলেও তাঁর অভিযোগ। 
নাড্ডার অভিযোগ, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয় তৃণমূল। তৃণমূল নেতারা বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সব অভিযোগ উঠে আসছে, সেগুলিকে ভুয়ো। কিন্তু তাঁদের এই আক্রান্তদের স্ত্রী-ছেলের কান্না চোখে পড়ে না। 


উল্লেখ্য, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতারা। গতকাল দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, তাঁদের ছয় জন কর্মী খুন হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে তাঁদের কর্মীদের ঘরবাড়ি ও দোকান। গতকালই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায় বিজেপি প্রতিনিধি দল।


এদিন দিলীপ ঘোষ বলেছেন, আগে আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হোক রাজ্যে। তারপর হোক শপথগ্রহণ।