সন্দীপ সমাদ্দার ও রুমা পাল, পুরুলিয়া: বিজেপি কর্মীকে প্রকাশ্যে গুলি মারার হুমকি দিলেন পুরুলিয়ার তৃণমূল প্রার্থী। ইভিএম-কারচুপির অভিযোগ নিয়ে গন্ডগোলের সময় এই হুমকি দেন তৃণমূল প্রার্থী  সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।


‘‘দেশকে গদ্দারোকো....গোলি মারো...’’ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই স্লোগান দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর! এবার এই গুলি মারার হুমকি শোনা গেল একেবারে বিধানসভা ভোটের দিন! তৃণমূল প্রার্থীর মুখ থেকে! ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে শনিবার সকালে, পুরুলিয়া শহরের ১২৭ নম্বর বুথের বাইরে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি বেধে যায়। এরই মধ্যেই পুরুলিয়ার তৃণমূল প্রার্থী এক বিজেপি কর্মীকে গুলি করার হুমকি দেন। যে ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়।


তৃণমূলের অভিযোগ, এই বুথে ইভিএমে কারচুপি করা হয়েছে। যার ফলে, জোড়াফুল বোতাম টিপলেই, ভোট যাচ্ছে পদ্মে। পুরুলিয়ার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘RO-DMকে অভিযোগ করেছি, প্রতি দুটি ভোটের একটি বিজেপিতে যাচ্ছে, ৩৬টি মেশিন খারাপ হয়েছে, যেখানে সংখ্যালঘু ভোট রয়েছে।’’


হারের ভয়ে ভোট বানচাল করতে চক্রান্ত করে তৃণমূল এই অভিযোগ তুলছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। পুরুলিয়ার ১২৭ নম্বর বুথের বিজেপি নির্বাচনী এজেন্ট সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করছে, ভয় পেয়ে চক্রান্ত করে অভিযোগ তুলছে।’’


ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রিসাইডিং অফিসার। পুরুলিয়ার ১২৭ নম্বর বুথের প্রিসাইডিং অফিসার তাপস চন্দ্র কুইরি বলেন, ‘‘অভিযোগ ঠিক নয়, ওনার সামনেই কয়েকজনে জিজ্ঞেস করি, তারা সকলেই বলছেন সব ঠিক আছে।’’


তৃণমূল প্রার্থীর হুমকি দেওয়ার ঘটনায় জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। 


বিতর্কিত এই স্লোগান বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন নয়! গত জানুয়ারিতে টালিগঞ্জ-হাজরা রুটে তৃণমূলের শান্তি মিছিল থেকে উঠেছিল গোলি মারোর স্লোগান। পরের দিন চন্দননগরের রথতলা মোড়ে, বিজেপির মিছিলেও শোনা গেল ‘গোলি মারো’ স্লোগান।