হুগলি: হুগলির খানাকুলের তৃণমূল প্রার্থী মুন্সি নাজিবুল করিমকে বাঁশ দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠল বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে।একটি বুথে ভোটদানে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়ে সেখানে যান তৃণমূল প্রার্থী। সেখানে বুথ থেকে তৃণমূলের এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয় বলেও তাঁর অভিযোগ।  সেই সময়ই বিজেপি সমর্থকরা তাঁর ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ।


তৃতীয় দফার ভোটেও সন্ত্রাসের সেই চেনা ছবিই ফিরে এল। খানাকুলের তৃণমূল প্রার্থীকে চ্যালাকাঠ, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার।বাদ গেলেন না তাঁর এজেন্টও। এই ঘটনায় বুথের বাইরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। শাসক দলের প্রার্থী ও এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে।আর এই ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল হুগলির খানাকুলের বলাইচক গ্রাম।


নদী ঘেরা হুগলির শেষ প্রান্তের গ্রাম খানাকুলের বলাইচক। প্রত্যন্ত এই এলাকায় ভোট শুরু হতে না হতেই শুরু হয়ে যায় অশান্তি।স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দিতে থাকেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।এই খবর পেয়ে সোয়া দশটা নাগাদ ঘটনাস্থলে আসেন তৃণমূল প্রার্থী মুন্সি নাজবুল করিম।নকিবপুর বাজার মোড়ে তৃণমূল প্রার্থী আসতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তর্কাতর্কি বেধে যায় প্রার্থীর।এরপরই মারমুখী হয়ে ওঠে একদল যুবক।চ্যালাকাঠ, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তৃণমূল প্রার্থীকে।বাদ যাননি তাঁর এজেন্টও।মারধরের পাশাপাশি জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয় তাঁর।কার্যত মারতে মারতেই এলাকা ছাড়া করে দেওয়া হয় প্রার্থীকে।



পাল্টা বিজেপির অভিযোগ, সেখানে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট চলছিল। তৃণমূল প্রার্থী এখানে অশান্তি ছড়াতে এসেছেন। 


তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ, তিনি বারেবারেই ঘটনার কথা জানিয়েছেন কমিশনকে। কিন্তু বাহিনী সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নিলে তাঁকে এখানে আসতেই হত না।


ওই বুথে যখন অশান্তির ঘটনা ঘটছে, তখন না পুলিশ না, কেন্দ্রীয় বাহিনী, কারও টিকিটি খুঁজে পাওয়া যায়নি।কার্যত ফাঁকা মাঠে তাণ্ডব চলে। এবিপি আনন্দে এখবর সম্প্রচারিত হওয়ার পর, ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।বিজেপির বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠলেও, অশান্তির জন্য উল্টে তৃণমূল প্রার্থীর ঘাড়েই যাবতীয় দায় চাপিয়েছে গেরুয়া শিবির। এভাবে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে খানাকুলের ওই বুথ। গণ্ডগোলের পরই বুথ থেকে চলে যান ভোটাররা। খাঁ খাঁ করতে থাকে বালিয়াচকের বুথ।


রাজনৈতিক হিংসায় বছরভর উত্তপ্ত থাকে খানাকুল। মঙ্গলবার, তৃতীয় দফার ভোটেও বদলানো না ছবিটা।