কমলকৃষ্ণ দে, গলসি: পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে গেরস্থ বাড়ির উঠোনে বিস্ফোরণ। তীব্র শব্দে কাঁপল আটপাড়া গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা। ঘটনায় বাড়ির মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কীভাবে বিস্ফোরণ? শুরু হয়েছে তার তদন্ত। এই ঘটনায় রাজনৈতিক তরজায় জড়িয়েছে বিজেপি ও তৃণমূল।
বাংলার ভোটে ফের বারুদের গর্জন। গ্রামে গেরস্থ বাড়ির উঠোনে জোরাল বিস্ফোরণ হয় ৷ তীব্র শব্দে কাঁপল পূর্ব বর্ধমানের গলসির আটপাড়া গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ গলসির আটপাড়ায় জনৈক ফটিক শেখের বাড়ি। বাড়ির উঠোনের পাশেই রয়েছে একটি পুকুর। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাত নটা নাগাদ পুকুরপাড় লাগোয়া উঠোনে প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, ‘‘বসেছিলাম। প্রচণ্ড জোরে আওয়াজ। বিস্ফোরণের কারণে আতঙ্কে আছি ৷’’
গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়ির মালিক ফটিক শেখকে গ্রেফতার করে। কীসের থেকে এই বিস্ফোরণ? কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল? ভোটের আগে বোমা মজুত করা হচ্ছিল কি না? তার তদন্ত চলছে। বিস্ফোরণস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। আটপাড়া গ্রামে চলছে টহল। কয়েক মাস আগে ফটিক শেখের বাড়ি থেকে কয়েকশো মিটার দূরে একটি শিশুশিক্ষাকেন্দ্রের পরিত্যক্ত শৌচাগারে বিস্ফোরণ হয় ৷ ওই বিস্ফোরণে পরিত্যক্ত শৌচাগারের ছাদ উড়ে যায় ৷ তখনও বোমা মজুতের অভিযোগ উঠেছিল ৷ ফটিক শেখের বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ সভাপতি রমন শর্মা বলেন, ‘‘ফটিক শেখ তৃণমূল কর্মী। ভোটে সন্ত্রাস চালাতেই তাকে দিয়ে বোমা মজুত করছে শাসকদল। এর আগে স্কুলে বিস্ফোরণ। বারবার অভিযোগ করতে হচ্ছে। বোমা মজুত হচ্ছে এলাকায় ৷’’পূর্ব বর্ধমানের জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘‘এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তৃণমূল সমর্থক হলেও হতে পারে, তবে জানা নেই। আমাদের সন্ত্রাস করতে হয় না। উন্নয়ন দিয়েই ভোট হবে।’’
গত ২২ মার্চ এই পূর্ব বর্ধমান জেলাতেই রসিকপুরের সুভাষপল্লিতে বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। তার ১৩ দিনের মাথায় এবার গলসিতে বিস্ফোরণ। আগামী ২২ এপ্রিল গলসি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে ৷