কলকাতা : ফের একবার প্রচারসভা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্যামপুকুরে তিনি বললেন, ' 
তৃণমূলের বুথে এসে করোনা ছড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ক্যাম্প অফিসে ঢুকতে দেব না।' সিআরপিএফের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মুর্শিদাবাদের রানিনগরে  তৃণমূল নেতার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তখন বাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। তৃণমূল নেতা তখন বাড়িতে ছিলেন না। সিআরপিএফের বিরুদ্ধে এফআইআর করব। এই ঘটনায় আদালতে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
এই ঘটনার উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, হবিবপুরেও কেন্দ্রীয় বাহিনী তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস দখল করে বসে আছে। বলছে বিজেপিকে ভোট দাও ইচ্ছে মতো নাকি ? 

অন্যদিকে মমতা বলেন, আসানসোল দক্ষিণ থেকেও প্রার্থী সায়নী ঘোষ ছবি পাঠিয়েছেন। সেখানে দেখা গেছে, প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থী ২৮ টি গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। 'এত লোক, কমিশন ঠুটো জগন্নাথ হয়ে বসে আছে' আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 

আজ বেশ কয়েকটি জায়গায় তৃণমূলের উপর হামলার অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। ভোটের শেষলগ্নে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মালদার মালতিপুর। 
তৃণমূলের পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে । পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা। পাল্টা বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে । যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে শাসকদল। 


মুর্শিদাবাদের রানিনগরে দুই তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর। হামলার অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। আক্রান্ত তৃণমূল নেতার বাড়িতে গেলে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল জেলা সভাপতি আবু তাহেরকে গো ব্যাক স্লোগান তৃণমূলেরই একাংশের। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ যুব তৃণমূল নেতা ও তাঁর বাবা, দাবি শাসক দলের। ঘটনায় কমিশনকে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পাঠালেন সেক্টর অফিসার। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওড়াল নির্বাচন কমিশন। কমিশনকে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পাঠান সেক্টর অফিসার। রিপোর্টে বলা হয়েছে, রানিনগরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ হয়
। সংঘর্ষ থামাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘটনাস্থলে যায় বাহিনী। তৃণমূলের কোনও নেতা নিখোঁজ নন, দাবি রিপোর্টে। বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে, জানিয়েছে কমিশন।