বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: ছোট ছোট কর্মীসভা করছিলেন। চলছিল বাড়ি বাড়ি প্রচার। আর এবার নন্দীগ্রামে সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের রোড শো। বাম প্রার্থীর এই রোড শোয়ে হাজির  ছিলেন শ্রীলেখা মিত্র, বাদশা মৈত্ররা।


নির্বাচনের এপিসেন্টার নন্দীগ্রাম। হেভিওয়েট প্রতিপক্ষ। কিন্তু নন্দীগ্রামের মানুষ তাঁকেই জয়ী করবে, আশাবাদী ৩৭ বছরের প্রার্থীর।নন্দীগ্রামের সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি কম ওয়েটের হলেও লড়াইয়ে আছি। নন্দীগ্রামের মানুষ আমাকেই জয়ী করবে ৷’’


নন্দীগ্রামে দুই হেভিওয়েটের লড়াই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার একইদিনে শুভেন্দুর গড়ে দাঁড়িয়ে মমতাকে হারানোর ডাক দিলেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। আর নন্দীগ্রামে শুভেন্দুকে হারাতে জোরদার প্রচারে নামলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরইমধ্যে বছর ৩৭-এর ছাপোষা মেয়েটা নন্দীগ্রামের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে বেড়াচ্ছেন। পরনে সেই সাধারণ পোশাক ৷ মুখে দিন বদলের কথা, কিন্তু একদম সাদামাটা ভঙ্গীতে ৷


গ্রামের বুক চিরে এগিয়ে চলেছে নন্দীগ্রামের সংযুক্ত মোর্চার সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের রোড শো। সঙ্গী বামপন্থী মনোভাবাপন্ন শিল্পী শ্রীলেখা মিত্র, বাদশা মৈত্র, বিমল মুখোপাধ্যায়রা। এদিন নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া মোড় থেকে বয়াল হয়ে তেরোপেখিয়া পর্যন্ত রোড শো করেন তিনি। অভিনেতা ও বাম সমর্থক শ্রীলেখা মিত্র বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের লড়াই আসল লড়াই। যারা চাকরির কথা বলছে তাদের হয়ে প্রচারে। তরুণপ্রজন্মের কথা বলছে। তাই মীনাক্ষীর পাশেই থাকা উচিত।’’ আরেক অভিনেতা ও বাম সমর্থক বাদশা মৈত্র জানাচ্ছেন, ‘‘গত ১০ বছরে এরা কী করেছে সাধারণ মানুষ তা ভালই জানে। বামপন্থীরাই মানুষের পেটে ভাত, হাতে কাজ দিতে পারে। তাই প্রচারে এসেছি।’’


কার দখলে যাবে বাংলা বাংলা? সেই প্রশ্ন তো আছেই। কিন্তু ভোট বাংলায় নন্দীগ্রামের গুরুত্ব যে কতটা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দ্বিতীয় দফায় পয়লা এপ্রিল ভোটগ্রহণ রয়েছে নন্দীগ্রামে। দুই হেভিওয়েটের লড়াইয়ের মধ্যে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের এমএ পাস মেয়েটা কী ছাপ ফেলেন, তার উত্তর মিলবে দোসরা মে।