নন্দীগ্রাম: দাদা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে গিয়েছেন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন স্বয়ং মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে এবার নির্বাচনের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ লড়াই। বাবা শিশির অধিকারীও হাজির হয়েছেন নরেন্দ্র মোদির মঞ্চে। ভাই হিসাবে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও জল্পনা চলছে।


বুধবার সেই দিব্যেন্দু অধিকারী এবিপি আনন্দকে জানালেন, নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে আবেগের বশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিব্যেন্দু বলেন, 'মমতা আবেগতাড়িত হয়ে নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়িয়েছেন।দাঁড়ানো উচিত হয়নি। নন্দীগ্রামের মানুষ ওঁর সঙ্গে নেই।'


তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে দিব্যেন্দু বলেন, 'পদ্মফুল তো ভারতের জাতীয় ফুল। তাকে উপড়ে ফেলার ক্ষমতা কার আছে! আর হিন্দু ধর্মে দুর্গা পুজো করতে ১০৮টি পদ্মফুল লাগে। ওটা উপড়ে ফেলার ক্ষমতা ওনার মতো মানুষের আছে বলে মনে হয় না।' নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা জিইয়ে রেখেছেন দিব্যেন্দু। আপনি কী করবেন? দিব্যেন্দু বলেন, 'দেখা যাক। দু-একদিনের মধ্যে জানতে পেরে যাবেন।'


মেদিনীপুরে একের পর এক সভা করে শুভেন্দু অধিকারীর ও অধিকারী পরিবারের নাম না করে ক্রমাগত আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  নাম না করেই গদ্দার, মীরজাফর বলে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। এদিন শান্তিকুঞ্জে বসে যে যার পাল্টা দিলেন শিশির অধিকারী। তৃণমূল সুপ্রিমোর দিকে আক্রমণ শানিয়ে তাঁর তোপ, 'বেইমানি আমি করিনি। আমার পরিবারের সঙ্গে বেইমানি করেছে ওরা। ওঁকে মুখ্যমন্ত্রী করার যে ডাক উঠেছিল তখন যদি কাঁধে নিয়ে আমি এখানে নিয়ে না আসতাম। যদি নন্দীগ্রামে সঙ্গে না থাকতাম, যদি সিঙ্গুর আন্দোলনে সাথ না দিতাম, যদি কেশপুরে দাঁতে দাঁত দিয়ে লড়াই না করতাম তাহলে উনি মুখ্যমন্ত্রী হতেন? আপাতত নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য যা ইচ্ছা বলছেন।’ 


দু-তিনদিনের মধ্যেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানাবেন বলেছেন শিশির অধিকারীর বড় ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারী। শান্তিকুঞ্জের বড় ছেলেও যে শুভেন্দু ও তাঁর রাস্তাতেই সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন শিশির। সঙ্গে কেন অধিকারী পরিবারের ঘাসফুল শিবিরত্যাগ সেটা বোঝাতে শিশির অধিকারীর সংযোজন, 'ভাইপোকে প্রতিষ্টা করে দিতে কলকাঠি নেড়ে শুভেন্দুকে সরাতে চেয়েছিলেন।' মঙ্গলবারই শান্তিকুঞ্জের সামনে দিয়ে রোড শো করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।