সমীরণ পাল, নিউ ব্যারাকপুর: গরিব দুঃস্থ মহিলাদের মাসে আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়া এবং চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক মহিলা বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুরের। গতকাল, শুক্রবার রাতে নিউ ব্যারাকপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয়।


তৃণমূলের অভিযোগ নির্বাচনের আগে ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে বিজেপি সভাপতি। অভিযোগ, একাধিক মহিলার নথিপত্রের  নিয়েছেন ওই মহিলা বিজেপি কর্মী মিতা সরকার। শুধু তাই নয়, তাঁদের মাসে মাসে অ্যাকাউন্টের টাকা দেওয়ার পাশাপাশি আগামী দিনে তাঁদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ৪০ জন গরিব মহিলাদের থেকে এই ধরনের নথি জোগাড় করা হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নালিশ জানানোর কথা ভাবা হচ্ছে।


কাজল দাস নামে এক মহিলা জানান, তাদেরকে বোঝানো হয়েছে প্রতি মাসে আড়াই হাজার টাকা করে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে সেই জন্যই তাদের নথি নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে অপর এক অভিযোগকারিণী মামনি হালদার বলেন শুধু মাসে মাসে তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকা নয়, বিজেপি করলে বা বিজেপিকে ভোট দিলে আগামী দিনে তাঁদের প্রত্যেককে চাকরি দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।


ওই বিজেপি কর্মীর নামে গতকাল রাতে নিউ ব্যারাকপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন একাধিক মহিলা। মিতা সরকার নিউ ব্যারাকপুরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, তার সঙ্গে অনেক শীর্ষ স্থানীয় বিজেপি নেতাদের ওঠা বসা আছে বলে জানা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে নিউ ব্যারাকপুর সহ যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জানান তাঁরা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নালিশ জানাবেন। তাঁর কথায়, নির্বাচনের আগে চাকরি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতিমাসে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের পর্যায়ে পড়ে।


এ বিষয়ে উত্তর দমদম এক নম্বর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি তাপস তালুকদার জানান, অভিযোগ ভিত্তিহীন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিজেপি নেতা কর্মীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ পেয়ে প্রতারণার মামলা রুজু করেছে নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। এবার দমদম উত্তর বিধানসভা এলাকায় ত্রিমুখী লড়াই তৃণমূলের প্রার্থী মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তার পাশাপাশি এই কেন্দ্রে রয়েছেন সংযুক্ত মোর্চার সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য।