কাকদ্বীপ: পদ্ম ফুলের মতো ভাইরাস বাংলায় আসার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী জোড়া ফুল। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কাকদ্বীপে নির্বাচনী জনসভা ছিস সংযুক্ত মোর্চার। সেখান থেকে একসঙ্গে তৃণমূল, বিজেপিকে তোপ দাগলেন আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকি। এদিন তিনি বলেন, উভয় দলই প্রশাসনের শত্রু।


একের পর এক প্রসঙ্গ টেনে এদিন বিজেপিরে আক্রমণ করেন আইএসএফ নেতা। আব্বাস বলেন, ১০০ টাকা তেলের দাম বেড়েছে পদ্ম ফুল আসার পর। গ্যাসের দাম এক হাজার টাকা হয়েছে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর। এভাবে মা বোনেদের সংসার জ্বলবে। ধর্ষণের কোনও শাস্তি নেই। থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে ধর্ষিতার বাবাকে খুন করা হচ্ছে। প্রায় ৩ বছর আগে কাশ্মীরের উন্নাওয়ের ধর্ষণের ঘটনা টেনে এনেও এদিন বিজেপিকে তোপ দাগেন আব্বাস সিদ্দিকি।


আব্বাস সিদ্দিকি বলেন,  পদ্ম ফুল হিন্দু-মুসলিম  বিভাজন করে। সেটা হতে দেওয়া যাবে না। হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে যে মিল আছে সেটা নষ্ট হবে। অসমের এনআরসি প্রসঙ্গে আব্বাস বলেন, অসমে বিজেপি নির্বাচনের আগে বলেছিল মুসলিমদের তাড়াব। আর সেই বাড়িগুলি দিয়ে দেব হিন্দুদের। কিন্তু সেটা হয়নি। এনআরসি কার্যকর হলে দেখা যায়, ১৪-১৫ লক্ষ মানুষকে বন্দি করে ক্যাম্পে রাখা হয়। বিজেপি আক্রমণ করে আব্বাস বলেন গরিবের শত্রু পদ্ম ফুল। বড়লোক মুসলিম হলেও তাঁকে মন্ত্রী করবে ওরা। এই বাংলায় পদ্ম ফুল আসার জন্য সম্পূর্ণ দোষী জোড়াফুল।


ওই মঞ্চ থেকে তৃণমূলকেও ভাইরাস বলে আক্রমণ করেন আব্বাস। তিনি বলেন, বিমল গুরুঙ্গকে ধরতে পুলিশ পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওরাই পুলিশকে মেরেছিল। আর ২০২১ সালে লড়াই করতে সেই বিমল গুরুঙ্গের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। অর্থাৎ পুলিশকে যাঁরা মেরেছে তাঁদের সঙ্গে হাত মেলালেন। প্রতিশোধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন আব্বাস। উভয় প্রশাসনের শত্রু বলেও তোপ দাগেন আব্বাস।


তিনি বলেন, ওরা বলেন ট্যাব, সাইকেল, ভাড়া দেবে শিক্ষা নয়। কারণ মানুষ শিক্ষা পেলে প্রশ্ন করবে, সেটা ওরা চায় না। এর ট্যাব, সাইকেল দিতে এলে নেবেন না। বলুন আমাকে শিক্ষা দিন, চাকরি দিন। ট্যাব কিনব না সাইকেল কিনব সেটা আমি ঠিক করব। লেখাপড়া করে নিজের টাকায় কিনব।