মেরঠ : অজয় দেবগন অভিনীত ২০০৩-এর হিট ছবি 'গঙ্গাজল'-এর কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। পরিচালক প্রকাশ ঝা দেখিয়েছিলেন, অপরাধ-অধ্যুষিত বিহারের তেজপুরের গল্প। এবং সেখানে 'গঙ্গাজল'-এর ব্যবহার কীভাবে ছবিতে এসেছিল তা নিশ্চয়ই মনে আছে ? তবে সেই গল্প আর এই খবরে বিন্দুমাত্র মিল নেই। বরং একেবারেই উলটো। মিল শুধু গঙ্গাজল শব্দে। ছবির গঙ্গাজল ছিল প্রতীকী। আর এই খবরে গঙ্গাজল খাঁটি গঙ্গাজলই। স্থান, মেরঠ। থানার নাম, নওচণ্ডী পুলিশ স্টেশন। আর গঙ্গাজলের বোতল দেওয়ার ব্যাপারটি যাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত, তিনি স্টেশন হাউস অফিসার প্রেম চাঁদ শর্মা।

  


অভিযোগকারী যখনই থানায় আসছেন, কপালে পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে তিলক। ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে গঙ্গাজল এবং ফেরার সময় হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে গঙ্গাজলের বোতল।  


কিন্তু, এহেন অভিনব ব্যাপারসাপার থানায় কেন ? প্রেম চাঁদ শর্মার জবাব, আধ্যাত্মিক ছোঁয়ায় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার  ব্যাপারে তিনি বিশ্বাসী। এবং এতে তিনি সফলও! তাঁর টোটকায় নাকি মানুষজন কম আক্রমণাত্মক হচ্ছেন। নওচণ্ডী এলাকা শান্ত হয়ে গিয়েছে। তবে, দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপের রাস্তা থেকে তাঁরা সরেননি বলেও জানিয়েছেন প্রেমচাঁদ। আর হোলি গিফট হিসেবে গঙ্গাজলের বোতল দিচ্ছেন । বোতলের গায়ে হিন্দিতে লেখা - সপ্রেম ভেট। তাঁর এই উদ্যোগ হোলি উৎসবে সামাজিক বিকৃতি দূর করবে বলেও আত্মবিশ্বাসী প্রেমচাঁদ। শুধু তাই নয়, গঙ্গাজল স্যানিটাইজারের কাজ করবেও বলে দাবি তাঁর। আহ্বান জানিয়েছেন, রোগ থেকে দূরে থাকতে গঙ্গাজল স্প্রে করুন সবাই।   


গঙ্গাজলের বোতল হাতে তুলে দিয়ে প্রেম চাঁদ শর্মা আরেকটি কাজও করছেন। অনুরোধ করছেন মদ থেকে বিরত থাকতেও। তবে প্রেমচাঁদের এই 'সপ্রেম ভেট' সম্পর্কে জানা নেই বলে দাবি করেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় পুলিশ সুপার বিনীত ভাটনগর বলেছেন, প্রতি থানায় স্যানিটাইজার থাকার কথা। কেন গঙ্গাজল ব্যবহার করা হচ্ছে, তা জানা নেই। তবে তিনি খতিয়ে দেখবেন বিষয়টি। 


কেন তাঁর এই পদক্ষেপ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানে না, সে সম্পর্কে অবশ্য কিছু জানা যায়নি প্রেমচাঁদের কাছ থেকে।