ডায়মন্ড হারবার: পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার সরিষায় তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। আহত হন এক মহিলা-সহ পাঁচ তৃণমূল কর্মী। শাসক শিবিরের দাবি, গতকাল রাতে এলাকায় পতাকা লাগাচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ, তখনই তাঁদের উপর বাঁশ-লাঠি নিয়ে হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ডায়মন্ড হারবার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। হামলা-যোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করেছে পদ্ম শিবির।
ভোটের আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার তিন জায়গায় রাজনৈতিক অশান্তি । ক্যানিং পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থীর প্রচার মিছিল থেকে ফেরার পথে, আক্রান্ত বিজেপির মহিলা কর্মী। বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের দিঘীরপাড় এলাকায়। আহত মহিলা বিজেপি কর্মীকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে ২ নম্বর লঞ্চঘাট এলাকায় জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের হাতে এক বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুটি ঘটনাতেই ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের। দুটি ক্ষেত্রেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। প্রসঙ্গত, তিন দফায় ভোট হবে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায়।
অন্যদিকে, যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থীকে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি কর্মীদের। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চসায়র থানা এলাকায়। যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী রিঙ্কু নস্করের অভিযোগ, গন্ডগোলের আশঙ্কার কারণ দেখিয়ে শহিদস্মৃতি এলাকায় তাঁকে ঢুকতে বাধা দেয় পঞ্চসায়র থানার পুলিশ। বিজেপি প্রার্থীর দাবি, ওই এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের দাবি, বিধিনিষেধ অমান্য করে বিজেপি প্রার্থী বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক নিয়ে ওই এলাকায় প্রচারে যাওয়ায় তাঁকে আটকানো হয়। কিছুদিন আগে রিঙ্কু নস্করের সভামঞ্চে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
আগামী ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফায় যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে ৷