নন্দীগ্রাম: ভোটের আগে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রামে মমতার কনভয় লক্ষ্য করে দফায় দফায় জয় শ্রীরাম স্লোগান। টেঙ্গুয়া, বলরামপুরে ফের মমতার কনভয় লক্ষ্য করে জয় শ্রীরাম স্লোগান। এর আগে এর আগে রেয়াপাড়া, মহম্মদপুরবাজারেও মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় লক্ষ্য করে জয় শ্রীরাম স্লোগান। 


নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে  জয় শ্রীরাম স্লোগান দিলেন বিজেপি সমর্থকরা।  নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেয়াপাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে রয়েছেন।  আজ সকালে নির্বাচনী কর্মসূচির জন্য রেয়াপাড়া থেকে ভাঙাবেড়ার দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ই রাস্তায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলনেত্রীর গাড়ির দিকে ধাওয়া করে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে থাকেন।  পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের আটকান।  এরপর ফের মহম্মদপুরবাজারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের উদ্দেশে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন বিজেপি কর্মীরা।  ওই জায়গাতেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। টেঙ্গুয়া  হয়ে যখন তৃণমূলনেত্রী সোনাচূড়ার দিকে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁর কনভয় ঘিরে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।  এরপর নিরাপত্তারক্ষীরা কনভয় ওই জায়গা থেকে বের করে দেন। 


২০২১ এর মহারণে নির্বাচনের এপিসেন্টার নন্দীগ্রাম। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় ভোট নন্দীগ্রামে। নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়ায় রোড শো করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সোনাচূড়া, বাঁশুলিচক ও টেঙ্গুয়ায় সভা করেন তিনি। আর শেষবেলায় উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। শেষবেলার প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনেই শ্রীরাম স্লোগান দিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। কোথাও আবার ধেয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের দিকে। তিন জায়গাতেই পরিস্থিতি সামাল দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। গণ্ডগোলের মধ্যেই এলাকা ছাড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। একবারের জন্যও বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


রণাঙ্গনের নাম নন্দীগ্রাম। শেষ দিনের প্রচারে সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাত্রাপথ জুড়ে রইল বিজেপি কর্মী সমর্থকদের জয় ‘শ্রীরাম স্লোগান’। রেয়াপাড়া, মহম্মদপুর বাজার, টেঙ্গুয়া মোড়, বলরামপুর। নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থীর কনভয় যখনই এসব এলাকার ওপর দিয়ে গিয়েছে, কনভয় লক্ষ্য করে উড়ে এসেছে জয় শ্রীরাম স্লোগান। একবার নয়, বারবার। কিন্তু, প্রতিটি ক্ষেত্রেই কোনওরকমের প্রতিক্রিয়া ছাড়াই চলে যান নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী।


মঙ্গলবার সকালে রেয়াপাড়ার ভাড়া বাড়ি থেকে বেরিয়ে কনভয় নিয়ে ভাঙাবেড়ার দিকে রওনা হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বড় পুলের কিছুটা আগে তৃণমূল প্রার্থীর গাড়ি দেখে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের কয়েকজন জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে শুরু করেন। কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থক আবার দলীয় প্ল্যাকার্ড নিয়ে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের দিকে ধেয়ে যান। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির কাছে পৌঁছনোর আগেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের আটকে দেন। এলাকা ছেড়ে চলে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়।


টেঙ্গুয়া মোড় থেকে ভেকুটিয়া হয়ে কনভয় যখন এগোচ্ছে, সেই সময় মহম্মদপুর বাজারের কাছে নিজেদের দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্য সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি দেখেই জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। এক্ষেত্রেও বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে চলে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়।


এরপর নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া মোড়ের কাছে ফের উত্তেজনা। শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে মিঠুন চক্রবর্তীর রোডশোয়ের জন্য রাস্তার ধারে তৈরি ছিলেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় সেখানে দিয়ে যেতেই, বিজেপি কর্মী সমর্থকরা নাগাড়ে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে থাকেন। এই ঘটনার জেরে টেঙ্গুয়া মোড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূল কর্মীরা পাল্টা খেলা হবে গান বাজিয়ে মিছিল শুরু করে দেন। গেরুয়া শিবির থেকেও জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।