নন্দীগ্রাম: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট দেখতে বেরোতেই নন্দীগ্রামে উত্তেজনা। বয়ালে তৃণমূলনেত্রীকে ঘিরে জয় শ্রীরাম স্লোগান। বুথের ভিতর মমতা, বাইরে সংঘর্ষ। নন্দীগ্রামে মুখোমুখি তৃণমূল-বিজেপি
দুই দলের কর্মী ও সমর্থকেরা। পরিস্থিতি সামলাতে নামল র্যাফ। কেন এতক্ষণ প্রার্থী এখানে? প্রশ্ন বিজেপি সমর্থকদের। পরিস্থিতি যে এমন, সেটা দেখাতেই বসে রয়েছি, পাল্টা বলেন মমতা।
বুথে বসেই রাজ্যপালকে ফোন করেন মমতা। বয়ালের পরিস্থিতির কথা জানালেন রাজ্যপালকে। পাশাপাশি মমতা বলেন, 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উস্কানিতেই এই অশান্তি। সকাল থেকে নির্বাচন কমিশনে ৬৩টি অভিযোগ করা হয়েছে। একটিতেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা আদালতে যাব।'
নন্দীগ্রামের পরিস্থিতি জানতে ফোন করেছেন সুদীপ জৈন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে ফোন করে নন্দীগ্রামের পরিস্থিতির ব্যাপারে জানতে চান উপ নির্বাচন কমিশনার।
বিভিন্ন বুথ পরিদর্শনের জন্য রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে থেকে তৃণমূল নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গা বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটারদের বাধাদান, এজেন্টদের বসতে না দেওয়ার অভিযোগ করেছে। কোথাও কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগও করেছে তৃণমূল। সোনাচূড়া, বয়ালের মতো যে সব জায়গায় সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে, সেইসব জায়গায় বিভিন্ন বুথে তৃণমূল নেত্রী যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সকাল থেকেই রেয়াপাড়ার বাড়িতে বসেই খোঁজখবর নিচ্ছিলেন তিনি। ওই বাড়িতেই কন্ট্রোল রুম গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে বসেই দলের কর্মীদের তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে।
মমতাকে দেখে 'জয় শ্রীরাম', বয়ালে মুখোমুখি তৃণমূল-বিজেপি
তবে বয়ালের একটি বুথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছতেই অশান্তি শুরু হয়। এখানকার বুথে তৃণমূল এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অবাধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। সেখানকার ক্ষোভের কথা গ্রামবাসীরা জানান তৃণমূল প্রার্থীকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে কোনও সাহায্য মেলেনি বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
যদিও মমতাকে দেখে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁকে উদ্দেশ্য করে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান ওঠে মুহুর্মুহু। তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা একে অন্যদের দিকে ইট নিয়ে তেড়ে যাচ্ছেন। গোটা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। নিরাপত্তার স্বার্থে বুথের ভেতরেই রয়েছেন মমতা। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, কেন এতক্ষণ বুথের ভেতরে থাকবেন প্রার্থী।