সন্দীপ সরকার, কেশপুর: বিধানসভা ভোটের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে।  রাজ্যের ৪ জেলার ৩০ আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোট গ্রহণ শুরু আগে থেকেই হিংসা ও অশান্তির খবর সামনে এসেছে। এরইমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের  কেশপুরের বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে হামলা। গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ। আক্রান্ত এবিপি আনন্দর গাড়ি সহ একাধিক সংবাদমাধ্যমের গাড়ি। বুথে ঘোরার সময় বিজেপি প্রার্থী প্রীতিশরঞ্জন কোনারের গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূলের।


একের পর এক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। বুথ জ্যাম করা হচ্ছে, এই অভিযোগ পেয়ে কেশপুরের গুণহারা গ্রামে যান বিজেপি প্রার্থী। এই অভিযোগ পেয়ে বিজেপি প্রার্থী গ্রামে যান। সেই সময়ই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে ধারাল অস্ত্র, বাঁশ, ইট, লোহার রড দিয়ে হামলা চালানো হয়। গাড়িতে এলোপাথাড়ি আঘাত করা হয়। সংবাদমাধ্যমের গাড়ির  ওপরও হামলা চালানো হয়। পরিস্থিতি রীতিমতো অগ্নিগর্ভ, ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। গাড়িতে বেধড়ক একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।   এই ঘটনায় বিজেপি প্রার্থী জখম হয়েছেন বলে জানা গেছে ।  মরিয়া হয়ে পালাতে গিয়ে রাস্তার ধারের একটি মাটির বাড়িতে প্রার্থীর গাড়ি ঢুকে যায়। প্রার্থী ও তাঁর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা গাড়ি থেকে নেমে পালান।   বিজেপি প্রার্থী এখন কোথায় রয়েছেন, তা জানা যায়নি। তাঁর ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এই ঘটনায় এবিপি আনন্দর গাড়ির চালকও আহত হয়েছেন। 


ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ  ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।  এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রার্থীকে খোঁজার চেষ্টা চলছে। তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।


 উল্লেখ্য,  দ্বিতীয় দফার ভোট শুরুর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভোট শুরুর আগে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী। পার্টি অফিস থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম উত্তম দলুই। মৃতের পরিবারের দাবি, গতকাল রাতে বাড়ির অদূরে পার্টি অফিসেই ছিলেন ওই তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ, ৩০-৩৫ জন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী জোর করে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। কিছুটা দূরে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়িভাবে কোপানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। এনিয়ে বিজেপির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। খুনের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।