হেমতাবাদ: রাজ্যের চলতি বিধানসভা নির্বাচনে আর তিনটে দফার ভোট বাকি রয়েছে। এরইমধ্যে সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও করোনা পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে দুই বা এক দফায় ভোট সেরে ফেলতে কমিশনের কাছে আর্জি তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। হেমতাবাদে তৃণমূলের ভোটের প্রচার সভা থেকে তিনি বলেছেন, কমিশনকে হাতজোড় করে অনুরোধ করব, একদিনে নির্বাচন করে দিন, মানুষের জীবন নিয়ে খেলবেন না। বিজেপির কথায় চলবেন না।
ভোটের দফা কমানো নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রবিশংকর প্রসাদ বলেছেন, নির্বাচন কয়টি দফায় হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত কমিশনের। নির্বাচন সাংবিধানিক বাধ্যবাধ্যকতা। সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে এ বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
এদিন ভোটের প্রচার সভা থেকে এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেছেন, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তৃণমূল নেত্রী এক-দুদফায় বাকি ভোটে সেরে ফেরার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই দাবিতে কর্ণপাত করা হয়নি। কারণ, ভোটের দফা কমালে এ রাজ্যে বিজেপি নেতাদের ডেলি প্যাসেঞ্জারি বন্ধ হয়ে যাবে। ভুয়ো খবর প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দেশের উদ্বেগজনক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে হেলদোল নেই প্রধানমন্ত্রীর। আট হাজার কোটি টাকার বিমানে চড়ে বাংলার ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে ভোটের প্রচারকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেছেন, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার পরিবর্তে বাংলার ভোট নিয়েই ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কথা বিচার করে কলকাতা শহরে আর কোনও ভোট প্রচার কর্মসূচি করবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শুধুমাত্র ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার এর শেষ দিন ২৬ এপ্রিল তিনি একটি 'প্রতীকী সভা' করবেন । করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তিনি বিভিন্ন জেলায় তাঁর যাবতীয় কর্মসূচির সময় কমিয়ে ফেলছেন। শহরের বাইরে সমস্ত জনসভা ও কর্মসূচি আধ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ করবেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর । গতকাল রাত ১১.৫৭ মিনিটে এই বার্তা দিয়েছেন ডেরেক ও'ব্রায়েন।