রুমা পাল, কলকাতা: ভোটের মুখে নির্বাচন কমিশনের নতুন নির্দেশ। মেয়াদউত্তীর্ণ পুরসভায় প্রশাসক পদে রাখা যাবে না কোনও রাজনীতিককে। বদলে নিয়োগ করতে হবে সরকারি অফিসারদের। গোটা প্রক্রিয়া শেষ করে মঙ্গলবার সকাল দশটার মধ্যে রিপোর্ট জমার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।  


এক সপ্তাহ পরই রাজ্যে শুরু হয়ে যাচ্ছে হাইভোল্টেজ বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে রাজ্যের পুরসভাগুলিতে প্রশাসক বা প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান পদে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে রাখা যাবে না বলে নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।


শনিবার এক নির্দেশিকায় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, যেসব পুরসভা বা কর্পোরেশনের মেয়াদ ফুরনোর পর বিদায়ী চেয়ারম্যান বা মেয়র বা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কোনও ব্যক্তিকে প্রশাসক বা প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের সরিয়ে সরকারি অফিসারদের সেই পদে নিয়োগ করতে হবে। ভোটে নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছতা আনতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।


এই মুহূর্তে রাজ্যে কলকাতা, হাওড়া-সহ ১১২টি পুরসভায় প্রশাসক রয়েছে। হাওড়া, বর্ধমানের মতো কয়েকটি পুরসভার প্রশাসক পদে সরকারি অফিসাররাই রয়েছেন। কিন্তু বাকি পুরসভাগুলির প্রশাসক পদে রয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। যেমন কলকাতা। ২০২০-র মে মাসে কলকাতা পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিমকেই প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়।


অন্যদিকে, হাওড়া পুরসভায় বর্তমানে প্রশাসক পদে রয়েছেন পুর কমিশনার। মেয়াদ উত্তীর্ণ বর্ধমান পুরসভায় প্রশাসক পদে রয়েছেন বর্ধমান উত্তরের মহকুমাশাসক।


নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। তারা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাগুলির প্রশাসক পদে সরকারি অফিসার নিয়োগ করবে।


পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পুরসভার প্রশাসকরা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে বলে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায় বিজেপি৷ অবাধ ভোটের স্বার্থে পুর প্রশাসক পদ থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সরানোর দাবিও জানায় তারা। শনিবার কমিশনের নির্দেশে সেই দাবিতে সিলমোহর পড়ল। গোটা প্রক্রিয়া শেষ করে ২২ মার্চ সকাল ১০টার মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।