হুগলি: হুগলির গোঘাটের ফুলঝোড় গ্রামে ভোটগ্রহণ চলাকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ। মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার কেন্দ্রীয় বাহিনীর।


স্থানীয়দের একাংশ অভিযোগ করেন,  ‘বুথে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিজেপির পক্ষে ভোট দিতেও বলা হচ্ছে।’ কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।


এদিকে,  তারকেশ্বরে ভোটের আগে উত্তেজনা ছড়ায়।এক নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়।  নাবালিকার শ্লীলতাহানির ঘটনায়  অভিযুক্ত বাহিনীর ১ জওয়ান। জওয়ানকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা। অভিযোগ পেয়ে ভোটের কাজ থেকে সরানো হল জওয়ানকে।


খানাকুলের হরিশচকে রাস্তা আটকে ভোটারদের প্রভাবিত করা ও বেআইনি জমায়েতের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে গেরুয়া শিবির। এরপর সেখানে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজ্য পুলিশ ও ক্যুইক রেসপন্স টিম। বেআইনি জমায়েত হঠানোর পর এলাকায় দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে বিজেপির একটি ক্যাম্প অফিস সরিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। 

তারকেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী স্বপন দাশগুপ্তকে গোপীনাথপুর এলাকায় গো ব্যাক স্লোগান তৃণমূলের। ১০-১২টা গাড়ির কনভয় নিয়ে ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁকে গো ব্যাক স্লোগান দেন তৃণমূল কর্মীরা। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয় দেয়। 


অত্যাচারের অভিযোগ তুলে আরামবাগের সুভয়পুর হরিজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে বাধা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেন মহিলা বিজেপি সমর্থকরা। দীর্ঘক্ষণ টালবাহানা চলার পর পুলিশের গাড়িতে চড়ে বুথ ছাড়েন তৃণমূলের এজেন্ট। 


আরামবাগের গৌরহাটি এলাকায় তৃণমূল ব্লক সভাপতি পলাশ রায়ের গাড়ি ভাঙচুর। তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। হামলার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। বুথে এজেন্ট বসতে দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ পেয়ে ওই এলাকায় যান তৃণমূল ব্লক সভাপতি। ইটবৃষ্টির মাঝে কোনওমতে এলাকা ছাড়েন তিনি।


বারুইপুরের পর এবার জাঙ্গিপাড়া। রসপুরে ২২০ ও ২২৪ নম্বর বুথে খোলা জানলার পাশে ইভিএম। কে কোথায় ভোট দিচ্ছে, দেখা যাচ্ছে এই অভিযোগ পেয়ে সেখানে যান বিজেপি প্রার্থী দেবজিৎ সরকার। তিনি গিয়ে জানলা বন্ধ করান।