বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: মহিষাদলের বিজেপি প্রার্থীর কোষাধ্যক্ষর বিরুদ্ধে পড়ল 'দুর্নীতি-পোস্টার''। ওই বিজেপি নেতা টাকা তছরুপ করেছেন বলে পোস্টারে অভিযোগ করা হয়। এই ঘটনায় দলের একাংশের দিকে আঙুল তুলেছেন অভিযুক্ত নেতা। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।
ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে পড়ল 'দুর্নীতি পোস্টার'...বিজেপি প্রার্থীর ফ্লেক্স থেকে গেরুয়া শিবিরের অফিস...আর্থিক তছরুপের অভিযোগে মহিষাদলের একাধিক জায়গায় বিজেপি নেতা মাখন মাজির বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার।
অভিযুক্ত নেতা তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি কিষাণ মোর্চার সহ সভাপতি । পাশাপাশি তিনি মহিষাদলে বিজেপির কোষাধ্যক্ষও। পোস্টার বিতর্কে প্রকাশ্যে চলে এসেছে বিজেপির কোন্দল। এই ঘটনায় দলেরই একাংশের হাত দেখছেন অভিযুক্ত বিজেপি নেতা। তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি কিষাণ মোর্চার সহ সভাপতি মাখন মাজি বলেন, ‘‘বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছি, ও সৎ ছেলে, এই কারণে কোষাধ্যক্ষর দায়িত্ব দিয়েছে, আমাদের পার্টির কারও হয়তো খারাপ লেগেছে, কেউ সাহায্য চেয়েছে আমি করিনি বলে এমন করছে ৷’’
অস্বস্তি ঢাকতে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, দলের কেউ পোস্টার লাগানোর সঙ্গে যুক্ত নয়। তমুলক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের দলে কোনও দ্বন্দ্ব নেই, অফিসের বাইরে কিছু পোস্টার কারা লাগাল তা খোঁজ নিয়ে দেখব, দলের কেউ করলে শাস্তি পাবে, এটা চক্রান্ত ৷’’
পোস্টার বিতর্কে বিজেপিকে খোঁচা দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেনি তৃণমূল। মহিষাদলের তৃণমূল প্রার্থী তিলক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যখন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয় ,অন্য লোকের নামে দেওয়াল লেখা হয়, বিজেপি গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের সমস্যা নিয়ে জর্জরিত, ওরা তাই পোস্টার দেবে, ওরা নিজেদের চোর চোর বলছে, টাকা তছরুপের কথা বলছে ৷’’
একদা বামদুর্গ মহিষাদলে ২০১১ ও ২০১৬-র নির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল ৷ লোকসভা ভোটের নিরিখে এই কেন্দ্রে এগিয়ে তৃণমূল ৷