ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী ও অর্ণব মুখোপাধ্যায়, পটাশপুর: বুথের কাছে ধারাল অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে তৃণমূল কর্মীদের ভয় দেখানোর অভিযো
গ উঠল বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার পরই উধাও হয়ে যায় অভিযুক্ত। এদিকে, মেদিনীপুরের চার্চগেট স্কুলে বুথ জ্যামের অভিযোগে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়।
হাতে ধারাল অস্ত্র নিয়ে বুথের কাছে বিজেপি কর্মীর দাপাদাপি! ভোট সন্ত্রাসের এই ছবি পটাশপুরের চকগোপালপুরে। প্রথম দফার ভোট চলাকালীন অস্ত্র নিয়ে রীতিমতো নজরদারি চালালেন বিজেপি কর্মী! তৃণমূলের অভিযোগ, দলীয় কর্মীদের বুথে আসা আটকাতে অস্ত্র নিয়ে ঘুরছিলেন এলাকার বিজেপি কর্মী কৃষ্ণগোপাল দাস। পটাশপুরের চকগোপালপুরের তৃণমূলকর্মী বলেন, ‘‘আমাদের মারধর করছে, যেতে দিচ্ছে না, কাটারি নিয়ে ঘুরছে। কী করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী?’’
বিতর্কের মুখে পিছু হঠা দূরের কথা, তৃণমূলকে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দেন অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী কৃষ্ণগোপাল দাস বলেন, ‘‘বাঁশ কাটতে গেলে কাটারির দরকার হয়, গাছের ডাল কাটছি, একটার পর খেলা শুরু হবে ৷’’
ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ গেলে উধাও হয়ে যায় অভিযুক্ত। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে যখন আতঙ্কের বাতাবরণ তখন পাশের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরে ভোট চলাকালীন দফায় দফায় অশান্তি। পুলিশের সামনেই সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল-বিজেপি। মাথা ফাটে শাসক দলের এক কর্মীর। তৃণমূলের অভিযোগ, বহিরাগতদের এনে বুথ জ্যামের চেষ্টা করে বিজেপি। প্রতিবাদ করায় মার খান দলীয় কর্মী।
অভিযোগ উড়িয়ে, বিজেপির পাল্টা দাবি, সমবেদনা পেতে অভিযোগ করছে তৃণমূল। মেদিনীপুরের বিজেপি নেতা প্রতিম সেন বলেন, ‘‘নাটক করছে ওরা, একবার বলছে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে, একবার বলছে ভোট দিতে দিচ্ছে না, এসব বলে কিছু হবে না ৷’’ মেদিনীপুর শহরের এই বুথে দফায় দফায় গন্ডগোলের জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ভোটাররা।
পাঁচ জেলার ৩০টি আসনে আজ সকাল থেকে চলছে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ, অশান্তির খবর এসেছে।