তুহিন অধিকারী ও শান্তনু নস্কর, বাঁকুড়া: ভোট মিটলেও মিলল না স্বস্তি। দ্বিতীয় দফা ভোটের পর হিংসার ঘটনা ঘটেছে একাধিক জেলায়। অভিযোগ, বাঁকুড়ার সোনামুখীতে দুপুরে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি কর্মী। আর সন্ধেয় হামলার অভিযোগ তৃণমূলের এক কর্মীর উপর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় মারধর করা হয়েছে বিজেপির এক কর্মীকে। পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তৃণমূল ও বিজেপি। আবার অভিযোগ অস্বীকারও তারাই করেছে। 


অভিযোগ দুপুর ১২টায় মার খান বিজেপি কর্মী। অন্যদিকে, রাত ৮টায় তৃণমূল কর্মীর উপর হামলার  অভিযোগ। একই শহরে ঘটল দুটি ঘটনা। তবে পুলিশ সূত্রে দাবি, দু’টি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র নেই। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শেষ হওয়ার পর শুরু হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসা। বাঁকুড়ার সোনামুখী এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় ভোট শেষ হওয়ার পর হিংসার ঘটনা ঘটেছে। সোনামুখীতে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় দ্বিতীয় দফার ভোট চলাকালীন ৭৩ নম্বর বুথের বিজেপির পোলিং এজেন্ট বাইরে আসার পর আক্রান্ত হন।  তাঁকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল। আবার বৃহস্পতিবারই সোনামুখীতে রাত ৮টা একটি দোকানে ঠান্ডা পানীয় খেতে গিয়ে আক্রান্ত হন এক তৃণমূল কর্মী। 


এক্ষেত্রে তৃণমূলের তরফে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলেও তা অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির।  গোসাবার ঘটনাও ঘটেছে ভোটের পর শুক্রবার সকালে।  সুন্দরবন কোস্টাল থানা এলাকার রাধানগর তারানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় মোল্লাখালি এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, এদিন সকালে দলীয় কর্মী আব্দুল ফারাক লস্কর  দোকান খুলতে গেলে বাধা দেয়  তৃণমূল কর্মীরা। 


এই নিয়ে দু’পক্ষের বচসা শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ তারপরই মারধর করা হয় বিজেপি কর্মীকে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে মার খান পরিবারের কয়েকজন সদস্যও। আহত বিজেপি কর্মী সহ ৪ জনকে ভর্তি করা হয় ছোট মোল্লাখালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সুন্দরবন কোস্টাল থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। যদিও তৃণমূল মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।