কলকাতা: নন্দীগ্রামের সভা থেকে বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরের পাশাপাশি সেখান থেকেও লড়তে চান বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ঘোষণা করেছেন, শুভেন্দু অধিকারী তার পাল্টা গতকাল তাঁকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছেন, মাননীয়া দাঁড়ান। আধ লাখ ভোটে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। মমতা গতকাল নন্দীগ্রামকে ভোলেননি বলেও জানিয়েছেন। আজ সুর চড়িয়ে তৃণমূলত্যাগী নেতা মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন, মমতার দেহ নন্দীগ্রামে, আত্মা কলকাতায়। নন্দীগ্রামের সঙ্গে তিনি কতটা একাত্ম বোধ করেন, বোঝাতে গিয়ে ‘ভবানীপুর আমার বড় বোন, নন্দীগ্রাম মেজ বোন’ বলে মমতা যে তুলনা টেনেছিলেন, গতকালই তার সমালোচনা শুরু হয় বিরোধী শিবির থেকে। বিজেপি, বাম নেতারা বলেন, উনি ভবানীপুরে এবার জিততে পারবেন না, আগাম বুঝে গিয়েছেন বলেই নন্দীগ্রামে দাঁড়াতে চাইছেন। মেদিনীপুর যাঁদের গড় বলে পরিচিত, কাঁথির অধিকারী পরিবারের বড় ছেলে আজ কার্যত সেই সুরেই প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কার ভরসায় নন্দীগ্রামে দাঁড়াবেন মমতা ?’ পাশাপাশি তিনি মমতার উদ্দেশে বলেন, ‘এক জায়গায় দাঁড়ান, দু জায়গায় দাঁড়ালে চলবে না। মেজ বোন, বড় বোন, যাই হোক, দু জায়গায় দাঁড়াতে দেব না। এও বলেন, নন্দীগ্রামেই দাঁড়াতে হবে মমতাকে। এখন থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে লেটারপ্যাড তৈরি রাখুন, এই বলেও মমতাকে কটাক্ষ করেন গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া শুভেন্দু।


(নন্দীগ্রামকাণ্ডে সিবিআই চার্জশিটে নাম থাকা সত্যজিতের জামিনের ব্যবস্থা করেছেন মমতা, সত্যজিতকে তৃণমূলে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।)

মমতার এদিনের পুরুলিয়া সভা নিয়েও বিদ্রূপের সুরে শুভেন্দু বলেন, মমতার সভা আসলে আসাদউদ্দিন ওয়েসির সভা। কারা সভায় এসেছিলেন সবাই জানে। মমতা রাজনৈতিকভাবে হতাশাগ্রস্ত, কোথায় সভা করছেন জানেন না, এও বলেন তিনি। মমতা পাঁচ বছর অন্তর আসেন বলেও কটাক্ষ করেন। মমতা এদিন সভায় হাতে কাগজের তাড়া থেকে স্থানীয় নেতাদের নাম পড়ছিলেন। তা নিয়েও শুভেন্দুর খোঁচা, মমতার সবার নাম দেখে পড়ছিলেন, শুভেন্দুকে টুকলি করতে হয় না।

তাঁর আজকের সভার আগে ৫ জায়গায় হামলা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু। হুঁশিয়ারি দেন, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রবিবার পর্যন্ত পুলিশকে সময় দিলাম, না হলে সোমবার তমলুকে বসে থাকব।

নাম না করে শুভেন্দু টেনে আনেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। কটাক্ষ করেন, তোলাবাজ ভ্রাতুষ্পুত্র যা বলবে তাই হবে’ ‘তোলাশ্রী পুরষ্কার পাবেন ভাইপো আর মমতা পাবেন ‘মিথ্যাশ্রী পুরষ্কার।

কয়েকটি জায়গায় তৃণমূল বিধায়কদের করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রসঙ্গেও শুভেন্দুর তোপ, আমফানের টাকা চোর, এখন করোনার টিকা চোর।