চণ্ডীপুর: নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক হিংসা ও প্রার্থীদের গাড়ি ভাঙচুর যেন নিয়মিত ঘটনা হয়ে গিয়েছে বাংলায় চলতি নির্বাচনী পর্বে।


বিজেপি প্রার্থী অশোক দিন্দা ও প্রীতিশরঞ্জন কোনারের পর এবার আক্রান্ত হলেন তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে সোহমের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। কাঠগড়ায় বিজেপি। যদিও গেরুয়া শিবির থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।


এদিকে, দুপুর পর্যন্ত তিনি রেয়াপাড়ার বাড়িতেই ছিলেন। তারপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে বয়ালে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে দেখে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয় বিজেপি সমর্থকেরা। তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।


বিভিন্ন বুথ পরিদর্শনের জন্য রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে থেকে তৃণমূল নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গা বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটারদের বাধাদান, এজেন্টদের বসতে না দেওয়ার অভিযোগ করেছে। কোথাও কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগও করেছে তৃণমূল। সোনাচূড়া, বয়ালের মতো যে সব জায়গায় সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে, সেইসব জায়গায় বিভিন্ন বুথে তৃণমূল নেত্রী যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সকাল থেকেই রেয়াপাড়ার বাড়িতে বসেই খোঁজখবর নিচ্ছিলেন তিনি। ওই বাড়িতেই কন্ট্রোল রুম গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে বসেই দলের কর্মীদের তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে। 


মমতাকে দেখে 'জয় শ্রীরাম', বয়ালে মুখোমুখি তৃণমূল-বিজেপি


তবে বয়ালের একটি বুথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছতেই অশান্তি শুরু হয়। এখানকার বুথে তৃণমূল এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অবাধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। সেখানকার ক্ষোভের কথা গ্রামবাসীরা জানান তৃণমূল প্রার্থীকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে কোনও সাহায্য মেলেনি বলে অভিযোগ তৃণমূলের।


বয়ালের ৭ নম্বর বুথে পরিস্থিতি এখনও অগ্নিগর্ভ। মমতার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই এই অশান্তি হচ্ছে। বুথের বাইরে মানবশৃঙ্খল তৈরি করে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দুই দলের কর্মী সমর্থকেরা রীতিমতো মারমুখী মেজাজে।