খড়গপুর: বৃহস্পতিবার রাজ্যে ভোট গ্রহণের দ্বিতীয় দফায় খড়গপুর সদর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণের বিরুদ্ধে দলীয় প্রতীক নিয়ে বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে ঢোকার অভিযোগ তৃণমূলের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে কী করে এই ঘটনা ঘটছে, অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন রাজ্যের শাসক দলের কর্মী ও সমর্থকেরা।
যদিও এ নিয়ে হিরণের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তিনি বরং তৃণমূলকে বিঁধেছেন। এবিপি আনন্দকে হিরণ বলেন, 'গতকাল সন্ধে থেকে তৃণমূলের গুণ্ডারা বেরিয়ে পড়েছিল। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে, বুথে বুথে তারা লোডশেডিং করেছিল। বিভিন্নরকম কার্যকলাপ করেছে তারা, আমি আর বলছি না। মানুষ জেনে গিয়েছে, মানুষ বুঝে গিয়েছে। ভয় দেখিয়ে সারা রাত ধরে সন্ত্রাস করেছে। মানুষ ভয়মুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ চায়। সকাল সাড়ে ছটা থেকে মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য ভিড় করেছেন।'
হিরণের অভিযোগ, কাল রাত থেকে মানুষকে ভয় দেখানো হয়েছে। বলেন, 'মানুষকে প্রলোভন দেখানো হয়েছে। নানারকম লেনদেন হয়েছে। তবু মানুষ ভোট দিতে তৎপর। সকাল থেকে লাইন দিয়েছেন। সকলে ভয়মুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ চান। খড়গপুর সদরে সকলে উন্নয়ন চান।'
কেশপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রীতিশরঞ্জন কোনারের গাড়িতে হামলা, আক্রান্ত সংবাদমাধ্যমও
প্রতিপক্ষ শিবির থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, আরপিএফ-কে ব্যবহার করে খড়গপুরের বস্তিতে বস্তিতে ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি। যদিও হিরণ বলছেন, 'আমরা আরপিএফকে দিয়ে ভয় দেখাতে যাব কেন? আমি যে হোটেলে থাকি, সেখানে পুলিশে ছয়লাপ হয়ে গিয়েছিল। গেটে পুলিশ, রাস্তায় পুলিশ, ঘরে ঘরে তল্লাশি হয়েছে। আমি জানতে চাই, কোনও দুষ্কৃতী বা সমাজবিরোধী রয়েছেন নাকি? যারা হোটেলে খেতে বা বুক করতে এসেছিলেন, তাঁরা ভয় পেয়ে চলে গিয়েছেন। আমি আশ্বস্ত করেছি। ওরা পুলিশকে ব্যবহার করছে। মানুষ গতকাল ভয় পেয়ে গিয়েছিল। আজ তা কেটে গিয়েছে।' অভিনেতা ও অধুনা রাজনীতিতে নাম লেখানো হিরণ বলেছেন, 'উপনির্বাচনে সরকারের হাতে পুলিশ, গুণ্ডা সবাই ছিল। তাই ভোট করতে দেওয়া হয়নি। এবার মানুষ বিপুল ভোট দেবেন। আমার ধারণা ৯৫ শতাংশ ভোট পড়বে। আমরাই জিতব।'