কলকাতা: এবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলল তৃণমূল। কমিশনে নালিশ জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের পক্ষ থেকে কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন ডেরেক ও’ ব্রায়েন। কমিশনকে দেওয়া ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের জাতীয় দিবস এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দেন মোদি। সরকারি সফর ছাড়াও ২৭ মার্চ কালী মন্দিরে পুজো দেন। তারপর বক্তব্য রাখেন। কেন তিনি বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে সঙ্গে নিলেন? তৃণমূল কিংবা অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের কেউ আমন্ত্রিত হননি কেন? সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে পরোক্ষে বিদেশ থেকে নিজের দলের হয়ে প্রচার বলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ তৃণমূলের।


করোনাকালে প্রায় ১৫ মাস পর, গত সপ্তাহে বিদেশ সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দু’ দিনের সফরে শনিবার বাংলাদেশ রওনা দেন তিনি। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ঢাকায় পৌঁছন মোদি। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের মুক্তির ৫০ তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে দুদিনের বাংলাদেশ সফরে যান নরেন্দ্র মোদির। বাংলাদেশের জাতীয় দিবস এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দেন মোদি। করোনা ভ্যাকসিনের ১০ লক্ষ ডোজ সঙ্গে নিয়ে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এই বাংলাদেশ সফর নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


উল্লেখ্য, গত শনিবার খড়গপুরে নির্বাচনী জনসভা থেকে মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়ে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিকে বাংলায় ভোট চলছে, কিন্তু উনি বাংলাদেশে গিয়ে বাংলার ভোটের বিষয়ে কথা বলছেন। ওই জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়  অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ফিরদৌস নামে বাংলাদেশের এক অভিনেতা তৃণমূলের মিছিলে যোগ দিয়েছিল। বাংলাদেশ সরকারকে বলে তাঁর ভিসা বাতিল করায় বিজেপি।