বীরভূম: বীরভূমের নানুরে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীর প্রচার ঘিরে উত্তেজনা। সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী শ্যামলী প্রধানকে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমকে ভোট দিলে হাত কেটে নেওয়ার হুমকি স্থানীয় তৃণমূল নেতা নুরমান শেখের। প্রার্থীর সামনেই হুমকি দেন তিনি।



পরে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী তথা তৃণমূল নেতা নুরমান শেখের সাফাই,  বহিরাগতদের এনে ভোট করানোর হুমকি দিয়েছিলেন সিপিএমের এক নেতা । বহিরাগতদের আটকাতেই মুক ফস্কে হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। 



সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ী অবিলম্বে ওই তৃণমূল নেতার গ্রেফতার দাবি করেছেন। এসব ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।



ভোটের প্রচার ঘিরে এর আগেও নানুরে উত্তেজনা দেখা গিয়েছিল। কয়েকদিন আগেই বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে আগে রাতে একটি গ্রামে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। নানুরের বিজেপি প্রার্থী তারক সাহার ঘিদহ গ্রামে প্রচারে যাওয়ার কথা ছিল। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, প্রচার বানচাল করার জন্য গ্রামে আতঙ্ক তৈরি করতে রাতে দফায় দফায় বোমাবাজি করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি করেছিল, রাতে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে তাদের কর্মীদের উপর হামলা চালায় বিজেপি। মারধরে এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফাটে বলে দাবি। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ালে রাতে ঘটনাস্থলে যায় নানুর থানার পুলিশ। দু’ পক্ষের ৮ জনকে আটক করেছে তারা।



এই ঘটনার আগের দিনই বীরভূমের নানুরে বিজেপি প্রার্থী তারক সাহার প্রচারে বাধা দানের অভিযোগ উঠেছিল। বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে বাধা দিতে গুলি চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছিল। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। প্রচারে বাধার পর বেশ কিছুক্ষণ সংশ্লিষ্ট গ্রামেই  বিজেপি প্রার্থী আটকেও ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক রাজনৈতিক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। বিজেপি অভিযোগ করেছিল, ভোটের প্রচারে নানুরের বড়াগ্রামে গ্রামে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই সময় একদল বহিরাগত হামলা চালায়। তারা গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, যারা হামলা চালিয়েছে তারা তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। যদিও শাসকদল অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।