সুনীত হালদার, হাওড়া: ডুমুরজলা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে বিজেপির পাল্টা সভা তৃণমূল কংগ্রেসের। আগামিকাল দুপুরে এই মাঠে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী তথা হাওড়া সদর  তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অরূপ রায়। এই উপলক্ষে ডুমুরজলার মাঠে মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। ৪০ ফুট লম্বা এবং ২৪ ফুট চওড়া মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। মাঠের তিন দিক থেকে লোক ঢোকানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি মাঠের একপাশে পার্কিং জোনও তৈরি করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন তৃণমূলের স্বেচ্ছাসেবকরা।

এই সভার বিষয়ে অরূপ জানিয়েছেন, হাওড়া জেলা থেকে ৫০ হাজার লোককে হাজির করার লক্ষ্য রয়েছে তাঁদের।

গত রবিবার এই মাঠেই বিজেপির সভা ছিল। সেখানে হাজির থাকার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। দিল্লিতে ইজরায়েলের দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসতে পারেননি। তবে ভার্চুয়ালি ডুমুরজলার সভায় ভাষণ দেন তিনি। এই সভায় ছিলেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া, উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী, অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। এছাড়া ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী।

ডুমুরজলায় বিজেপির এই সভার আগের দিনই দিল্লি গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন রাজীব, বৈশালী, রুদ্রনীল, প্রবীর, রথীনরা। তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেন। সেদিন রাতেই তাঁরা কলকাতায় ফিরে আসেন। এরপর ডুমুরজলার সভায় হাজির হন তাঁরা। এই সভা থেকে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন রাজীব, শুভেন্দু।

রাজীব বলেন, ‘যখন তৃণমূলে কেউ যোগ দেয়, তখন বলা হয় উন্নয়নের স্বার্থে। আর কেউ তৃণমূল ছাড়লে বিশ্বাসঘাতক বলা হয়। যত অপশব্দ ব্যবহার করবেন, তত আশীর্বাদ আমাদের উপর আসবে। সেই সাহস নিয়েই আমরা লড়াই করব। করুন, কী করতে পারেন। আগেও মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি। দরকার হলে পাড়ায় পাড়ায়, বুথে বুথে যাব। মানুষের কাছে গিয়ে বার্তা দেব। ওদের শেষের শুরু হয়ে গেছে।’