অলোক সাঁতরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: বিজেপির হয়ে মিঠুন চক্রবর্তীর রোড শো-র পরেই তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধরের অভিযোগ। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ শাসক দলের। পুলিশে অভিযোগ দায়ের তৃণমূল প্রার্থীর। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করেছে গেরুয়া শিবির।


মিঠুন চক্রবর্তীর রোড শো-র পরেই উত্তপ্ত কেশপুর। তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালালো দুষ্কৃতীরা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হল পার্টি অফিসের চেয়ার টেবিল। ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে শাসকদলের পতাকা-ফেস্টুন। মারধর করা হয়েছে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদেরও। এই ঘটনায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল। রবিবার কেশপুর বাজারের কাছে বিজেপির রোড শোয়ে উপস্থিত ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।


তৃণমূলের অভিযোগ, সেই রোড শো থেকে ফেরার পথে সন্ধেয় ধলহরা এলাকায় তাদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের মারে আহত হন তিনজন তৃণমূল কর্মী। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও, কী করে পার্টি অফিসে হামলা হল, তা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল।


কেশপুরের তৃণমূল প্রার্থী শিউলি সাহা বলেন, ‘‘বিজেপি সন্ত্রাস চালাচ্ছে কেশপুরে। কর্মীদের মারধর করছে। পার্টি অফিস ভাঙছে।কেন্দ্রীয় বাহিনী কিছু করতে পারছে না। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলনে নামব। অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।’’


যদিও অভিযোগ উড়িয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছে বিজেপি। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ সভাপতি তন্ময় ঘোষ বলেন, ‘‘এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। নিজেরা নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল করছে।’’ বৃহস্পতিবার কেশপুরে ভোটদান।


বাঁকুড়ার শালতোড়া, পুরুলিয়ার মানবাজার, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে রোড শো করছেন মিঠুন চক্রবর্তী। বাঁকুড়ার শালতোড়ায় রোড শো করেন 'মহাগুরু'।  তাঁকে দেখতে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ। মানুষের উন্মাদনা দেখে মিঠুন বলেন, ‘তোমাদের ভালোবাসার কথা আমি সবসময়ই বলি। বাংলার মানুষের সঙ্গে আমার হিরো আর ফ্যানের সম্পর্ক নয়, আত্মার সম্পর্ক, হৃদয়ের সম্পর্ক। বাংলার সব গরিব মানুষের জন্য লড়তে এসেছি। বাংলার সব মানুষকে তাঁদের ন্যায্য অধিকার দেওয়াব। এটা আমার প্রতিশ্রুতি। সবার আশীর্বাদ কামনা করছি।