কলকাতা: ভোটের মুখে বিজেপি ও তৃণমূল দুই দলই আজ নন্দীগ্রাম দিবস পালন করবে। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বকুলনগরের অধিকারী পাড়ায় শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবেন তৃণমূল নেতারা। মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ছাড়াও এখানে থাকবেন দোলা সেন ও পূর্ণেন্দু বসু। এরপর ভাঙাবেড়া ব্রিজের কাছে শহিদ স্মরণে সভা করবেন তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা। পাশাপাশি, বিজেপির তরফেও নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষে শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বকুলনগরের অধিকারী পাড়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। এরপর সোনাচূড়ার শহিদ মিনারে গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবেন তিনি।


অন্যদিকে, নন্দীগ্রাম দিবসে হুইলচেয়ারেই আজ হাজরার সভায় দেখা যেতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আজ গাঁধী মূর্তি থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিল শেষে হাজরার সভায় হুইলচেয়ারে থাকতে পারেন তৃণমূলনেত্রী। সভা শেষে এরপর কপ্টারে দুর্গাপুর যাওয়ার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আগামীকাল পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় জোড়া সভা করবেন তৃণমূলনেত্রী।


উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে এই নন্দীগ্রামেই ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। বুধবার নন্দীগ্রামে আঘাত পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোড়ালি ও পায়ের পাতায় আঘাত নিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতার এসএসকেএম-এ আনা হয় তৃণমূল নেত্রী তথা নন্দীগ্রামের প্রার্থীকে। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা মুখ্যমন্ত্রীকে পাঁজাকোলা করে গাড়ির পিছনের সিটে শুইয়ে দেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই অবস্থায় গ্রিন করিডোর করে মুখ্যমন্ত্রীকে নন্দীগ্রাম থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নিয়ে আস হয় কলকাতার এসএসকেএম-এ। শুক্রবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়। আপাতত পায়ে প্লাস্টার রয়েছে তাঁর। পরতে হচ্ছে বিশেষভাবে তৈরি চটি।


উল্লেখ্য, ভোটের বাংলায় মহাযুদ্ধের এপিসেন্টার নন্দীগ্রাম। প্রচারে ঝড় তুলতে মরিয়া দুপক্ষ। হাইভোল্টেজ এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। হাড্ডাহাড্ডি এই লড়াইয়ে কংগ্রেস-বাম-আইএসএফ জোট সংযুক্ত মোর্চার সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবারই জমি আন্দোলনের ধাত্রীভূমিতে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মনোনয়ন পেশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার মনোনয়ন পেষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। হাইভোল্টেজ ওই অঞ্চলেই এবার নন্দীগ্রাম দিবস পালন করছে বিজেপি ও তৃণমূল।