কৃষ্ণনগর: শীতলকুচিতে গুলি চালনার ঘটনায় 'দিল্লির পুলিশের' দিকে আঙুল তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। রেয়াত করেনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও।কোচবিহারকাণ্ডের জন্য শাহকেই চক্রান্তকারী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগরে যার জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এদিন কৃষ্ণনগরে বিজেপির জনসভায় মোদি বলেন, দিদির ঘুম ছুটে গেছে। আজ দিদি নির্বাচন কমিশনকে গালাগাল করছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এমনকী, ইভিএমকেও গালি দিতে ছাড়ছেন না। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, দিদি নিজের দলের পোলিং এজেন্টকেই গালাগাল করছেন।পুরোনো খেলায় মেতেছেন তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূল রাজ্যে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে।তৃণমূল নেত্রীর উত্তেজক উস্কানিমূলক কথাবার্তার জন্যই ভোটের মধ্যে রাজ্যে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে আরও বলেছেন, ইতিমধ্যেই দেশের চার রাজ্যে নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। সেখানে কোনও হিংসার খবর পাওয়া যায় না। কিন্তু বাংলায় হিংসার কারণ আপনার হিংসার রাজনীতি।ছাপ্পাভোট রুখে দেওয়ার পরই আপনি উল্টোপাল্টা বকছেন। আপনি সাত জন্মেও বাংলার জনতাকে হারাতে পারবেন না।
কৃষ্ণনগরে কলেজ মাঠে এদিন ভাইপোকে নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েননি মোদী। তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, এবার তো আমি একটা অন্য কথা শুনছি। দিদি নিজের জন্য নয়, ভাইপোর জন্য স্বপ্ন দেখছেন। সব ধরনের কৌশল অবলম্বন করছেন। কিন্তু বাংলার জনগণ এসব আগে থেকেই বুঝে গেছেন। সেই কারণে রাজ্যে নির্বাচনের প্রথম দফা থেকেই ওনাকে প্রত্যাখ্যান করতে শুরু করেছেন।
শনিবার সকালে শীতলকুচিকাণ্ড নিয়েও মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদী বলেন, ''কোচবিহারে যা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিজেপির প্রতি সমর্থন দেখে দিদি ও তাঁর গুন্ডারা ভয় পেয়ে গিয়েছে। বিদায় আসন্ন বুঝে দিদি এতটা নীচে নেমেছেন। কিন্তু দিদি ও টিএমসির গুন্ডাদের সাফ বলে দিতে চাই, দিদি আর টিএমসির স্বৈরাচার বাংলায় চলতে দেওয়া যাবে না। আমি কমিশনকে বলব কোচবিহারে যা হয়েছে, দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। দিদি এই হিংসা, লোককে সুরক্ষাবাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানো, ভোটপ্রক্রিয়া রুখে দেওয়ার চেষ্টা, এসব আপনাকে বাঁচাবে না। ১০ বছরের কুকর্ম হিংসায় আড়াল করতে পারবেন না।'