রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: ভোটের পর দল বদলাবেন না তো? দলীয় কর্মীর প্রশ্নে অস্বস্তিতে পড়লেন কাটোয়ার কংগ্রেস প্রার্থীকে। জবাব দিতে গিয়ে, তিনি নিশানা করলেন কংগ্রেস ত্যাগী তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীদের। এসেছে পাল্টা কটাক্ষ।


মৌসম কি তরাহ তুম ভি বদলতো না জাওগে। হিন্দি ছবির জনপ্রিয় গানের এই লাইনের মুখোমুখি হতে হল কাটোয়ার কংগ্রেস প্রার্থীকে। কংগ্রেস প্রার্থী জানান, আপনাদের সব সমস্যার জন্য আমি আছি। পুরনোরা অনেকে ক্লিক করেছে, দাঁড়িয়েছে, আবার ট্রান্সফার হয়ে গেছেন।


পূর্ব বর্ধমানের বিধানসভা কেন্দ্রের কাটোয়ায় এবার জেলা সভাপতি প্রবীর গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে বিদায়ী বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কেই ফের টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। যিনি ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে জিতেও, ২০১৫-তে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। অন্যদিকে শ্যামা মজুমদারকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তিনিও ২০১৯-এ কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন।এই অভিজ্ঞতা থেকেই যে কংগ্রেসের একাংশ তাঁদের প্রার্থীকে নিয়ে সন্দিহান, তা বোঝা গেল এদিনই। সোমবার কাটোয়ার পঞ্চানন তলা গ্রামে প্রচারে বেরনোর আগে দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী। তখনই প্রবীর গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন সাধন চট্টোপাধ্যায় নামে এক কর্মী।


দলীয় কর্মীর এহেন প্রশ্নের মুখে পড়ে প্রথমে হকচকিয়ে উঠলেও, পরে উত্তর দিতে গিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে যাওয়া বিরোধী দলের প্রার্থীদেরই নিশানা করেছেন প্রবীর গঙ্গোপাধ্যায়। প্রার্থী নিয়ে দলীয় কর্মীদের আশঙ্কায়, অন্যায় কিছু দেখছে না প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য জানান, ‘‘অক্লান্ত পরিশ্রম করে কর্মীরা প্রার্থীকে জেতান, তারপর চলে গেলে খারাপ তো লাগবেই। তবে সবাই একরকম নন। এই প্রার্থী দল বদলাবেন না। এতে কোনও সন্দেহ নেই।’’


যদিও কংগ্রেস প্রার্থীকে নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন একদা কংগ্রেস বর্তমানে তৃণমূল প্রার্থী। কাটোয়ার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘দীর্ঘ ৩ বছর কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলাম, এতবছর প্রবীর গঙ্গোপাধ্যায়কে আমি দেখিনি, তিনি কোথা থেকে কংগ্রেসে চলে এলেন। আর আমি কংগ্রেস ছাড়লেও, তৃণমূল থেকে দাঁড়িয়ে জিতেছি, কাটোয়ার মানুষ আমার সঙ্গে ছিল।’’কাটোয়ার বিজেপি প্রার্থী শ্যামা মজুমদার বলেন, ‘‘কংগ্রেস থেকে মনে হয়েছে বিজেপিতে আসা দরকার, তাই এসেছি। ঠিক করেছি কিনা, কাটোয়ার মানুষ বিচার করবে।’’ ২২ এপ্রিল কাটোয়া আসনে ভোট।