প্রকাশ সিনহা, ভাঙড়: পাঞ্জাবে ভোটের সময় এমন হয় না, ভয়ের ভাঙড়ে দাঁড়িয়ে জানালেন পাঞ্জাব পুলিশের দুই আধিকারিক। কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) হয়ে বাংলায় ভোটের ডিউটি করতে এসে তাঁরাও হতবাক।
ভয়ের ভাঙড়ে গণনা পর্বের শেষেও ভোট-হিংসার বলি আরও তিন। গভীর রাতে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll 2023) গণনার শেষ পর্বে কাঁঠালিয়া স্কুলে গণনা কেন্দ্রের সামনেই বোমাবাজি, চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল দুই আইএসএফ কর্মী হাসান মোল্লা, রেজাউল গাজি এবং গ্রামবাসী রাজু মোল্লার। এই নিয়ে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর, বাংলায় ৩৫ দিনে ৪৪ জনের মৃত্য়ু হল। এদিন সকালে ওই এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। ভিন রাজ্য়ের পুলিশ বাহিনী এই রাজ্যে ভোট করাতে এসেছে। সন্ত্রাসের চেহারা দেখে তাঁরাও স্তম্ভিত। সাফ জানিয়ে দিলেন "পাঞ্জাবে ভোটের সময় এমন হয় না।''
কী ঘটেছিল গতকাল?
জেলা পরিষদের ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল শুরু হয়। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় আইএসএফ কর্মীদের। একের পর এক বোমা পড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হন বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেড কোয়ার্টার মাকসুদ হাসান। তাঁর দেহরক্ষীর পা ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় আরেকটি গুলি। নিহত আইএসএফ কর্মীদের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের উর্দি পরে এসে গুলি চালিয়েছে সওকত মোল্লা ও আরাবুল ইসলামের লোকজন। সওকতের পাল্টা দাবি, গুলি চালায় আইএসএফ-ই।
ভাঙড়ের কাঁঠালিয়া এলাকায় দুই আইএসএফ কর্মী-সহ ৩ জনের মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তায় এখনও পড়ে রয়েছে তাজা বোমা, ইটের টুকরো, ভাঙা কাচ। কার্যত বন্ধের চেহারা নিয়েছে গোটা এলাকা। শোনপুর বাজারে দোকানপাট বন্ধ। সন্ত্রাসের আবহে ব্যবসা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ভোট মিটলেও অশান্তির ভাঙড় যে সহজে শান্ত হবে না, তা ভেবেই আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। গতকাল তিন-তিনটি মৃত্যুর পর, আজ সকালে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ভাঙড়ে যান এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সিদ্ধিনাথ গুপ্ত। যদিও তাতে সাধারণ মানুষের ভয় কাটছে না।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: Goosebumps Reasons : ভাল গান শুনে গায়ে কাঁটা দেয় আপনার? জানেন এর পিছনে বৈজ্ঞানিক কারণ?