বর্ধমান: ঘরে ঘরে স্কুটি বিলির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। ক্ষমতায় এলে তাঁরা স্কুটি দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার শুধু সাইকেল দিয়েছে। বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে ঘরে ঘরে স্কুটি দেবে। প্রত্যেক বাড়িতে চাকরি অথবা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে।
খণ্ডঘোষের বেড়গ্রামে জনসভা থেকে তাঁর এহেন প্রতিশ্রুতির জবাবে শাসক তৃণমূলের কটাক্ষ, প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে পনেরো লাখ টাকা আর বছরে দুকোটি বেকারকে চাকরি, আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া এই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হোক।
ভোটের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা হয়নি। ইশতেহার প্রকাশ করেনি কোনও রাজনৈতিক দল। কিন্তু জনসভায় প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে নেতানেত্রীদের প্রতিশ্রুতির বিরাম নেই। এবার তাতে নতুন মাত্রা যোগ করলেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি। তিনি জনসভায় বলেন, দিদির বাংলায় শুধু সাইকেল দিয়েছে। আমরা ঘরে ঘরে স্কুটি দেব। ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক বাড়িতে চাকরির সংস্থান ও কর্মের সংস্থান করা হবে। ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক বেকারকে চাকরি।

পাল্টা বিজেপির উদ্দেশে তৃণমূলের প্রশ্ন, আগে যেসব প্রতিশ্রুতি নরেন্দ্র মোদি দিয়েছিলেন, তা কবে পূরণ হবে? পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিত দাস বলেন, মোদী প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেবেন বলেছিলেন। সেই টাকা কোথায় গেল? দুকোটি বেকারের চাকরি দেব বলেছিলেন, কোথায় গেল কী হল?
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি বা CMIE-র তরফে দেশে রাজ্যওয়াড়ি কর্মসংস্থানের পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। সেই তথ্য অনুযায়ী, যে ১০টি রাজ্যে দেশে বেকারত্ব সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে ৬টি রাজ্য বিজেপি শাসিত।
CMIE-র ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বেকারত্বের নিরিখে দেশের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায়।

অন্যদিকে, বিজেপির অভিযোগ, মমতা সরকারের আমলে বাংলায় কর্মসংস্থান তলানিতে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থান ইস্যুতে বিজেপি না তৃণমূল, কার প্রতি মানুষ আস্থা রাখবে? না কি অন্য কোনও বিকল্প খুঁজে নেবে ভোটাররা? সেই উত্তর পাওয়া যাবে ভোটের ফলে।