রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি:  রাজ্যের গোর্খা প্রধান এলাকায় তৃণমূলের হয়ে প্রচার করছেন বিমল গুরুং। বৃহস্পতিবার থেকে ডুয়ার্সে প্রচার শুরু করেছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা।

শনিবার মেটলি ব্লকের চিলোনি চা বাগান থেকে নিবিড় জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করলেন তিনি। দাবি করলেন, বিধানসভা ভোটে রাজ্যে সত্তর থেকে আশির বেশি আসন পাবে না বিজেপি।

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুংয়ের দাবি,  এবার আমাদের ফল ভালই হবে। যদিও আগের মতো হবে না। তবে সরকার আমরাই গড়ব। বিজেপি জিতবে বলে যে দাবি করছে, তা একেবারেই ভুল। ৭০ থেকে ৮০-র বেশি আসন পাবে না রাজ্যে।

তরাই এবং ডুয়ার্সে নেপালি ভাষাভাষী এবং গোর্খা সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা যথেষ্ট বেশি।  সূত্রের খবর, এক দশকেরও বেশি সময় বিজেপির পক্ষে থাকায় মোর্চা সমর্থকদের একটা অংশ এখনও গেরুয়া ঘেঁষা বলে মনে করে গুরুং শিবির। তাই দল ও মত বদলাতে চলছে জোর প্রচার।

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের বিধানসভাভিত্তিক ফল অনুযায়ী, কালচিনি, কুমারগ্রাম এবং নাগরাকাটা-ডুয়ার্সের  এই ৩ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের চেয়ে বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বিজেপি।

সূত্রের খবর, গুরুংয়ের ভরসায় উত্তরবঙ্গের ৫৪টি আসনের মধ্যে ১৮টি আসনে ভাল ফলের আশা করছে ঘাসফুল শিবির। বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

বিজেপি জেলা সহ সভাপতি অলক চক্রবর্তীর মন্তব্য, আশ্চর্য লাগছে যার জন্য ডুয়ার্স দিনের পর দিন উত্তপ্ত ছিল, সেই দাগী আসামীকে দিয়ে দিদিভাই ডুয়ার্সে প্রচার চালাচ্ছেন। দিনের পর দিন পাহাড় ছেড়ে পালিয়েছিলেন। এদের মানুষ চেনে। মানুষ এদের নেবে না। মানুষ এদের পাশে থাকবেন না।

তরাই-ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ অংশকে গোর্খাল্যান্ডের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিমল গুরুংয়ের এই দাবিকে ঘিরে ২০০৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত তপ্ত ছিল ডুয়ার্স। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, কিছুই বাদ যায়নি। তৃণমূলপন্থী গুরুংয়ের প্রত্যাবর্তন ডুয়ার্সের গোর্খা ও নেপালি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ কীভাবে নেন, এখন সেটাই দেখার।