কলকাতা: শান্তিপুরের বিধায়ককে দেওয়া হল ওয়াই ক্যাটিগরি নিরাপত্তা। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেলেন অরিন্দম ভট্টাচার্য।এ কথা নিজেই জানিয়েছেন শান্তিপুরের বিধায়ক।তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতেই বাড়ল  তাঁর নিরাপত্তা।আজ রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করেন অরিন্দম।কয়েকদিন আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছেন বলেও জানান অরিন্দম।


প্রথমে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে। এবার ঘাসফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে এসেছেন।৪ বছরে ৩টি দল! এবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেলেন শান্তিপুরের বিধায়ক। কয়েকদিন আগে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তৃণমূলে যোগ্যদের কাজ করতে দেওয়া হয় না, হাত বেঁধে রাখা হয়।

২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের সমর্থনে শান্তিপুর থেকে জিতেছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্য। সেইসময় যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতিও ছিলেন তিনি। কংগ্রেসের হয়ে ভোটে জেতার ঠিক ১৩ মাস পর, ২০১৭-র ২১ জুন, তৃণমূলে যোগ দেন অরিন্দম ভটাচার্য।

তারপর ৩ বছর ৭ মাসের মাথায় ফের দলবদল। এবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখান।

২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে, শান্তিপুরে তৃণমূল প্রার্থী অজয় দে-কে প্রায় ১০ হাজার ভোটে (৯ হাজার ৫৭০) হারিয়েছিলেন তৎকালীন জোট প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্য।

২০১৯-এর লোকসভা ভোটে, রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অধীনস্ত সাতটি বিধানসভা আসনের ৬টিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তার মধ্যে অরিন্দম ভট্টাচার্যের কেন্দ্র শান্তিপুরে তৃণমূলের থেকে ৩৫ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি।

তৃণমূল অবশ্য অরিন্দমের দলত্যাগকে গুরুত্ব দিতে চায়নি। দলের এক  স্থানীয় নেতা বলেছিলেন,  অরিন্দম যাওয়ায়  স্বস্তি এসেছে। তাঁর যাওয়ায় দলের কোন ক্ষতি হবে না বরং শান্তিপুরে তৃণমূল আরো বেশি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ হবে।

অন্যদিকে, অরিন্দম ভট্টাচার্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় নদিয়ার শান্তিপুরে দলের অন্দরে ক্ষোভের খবর সামনে এসেছিল।

উল্লেখ্য, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েছিল কেন্দ্র। এবার অরিন্দমকে দেওয়া হল ওয়াই ক্যাটাগরি নিরাপত্তা।