নন্দীগ্রাম: দুটো কেন, একটা জায়গায় দাঁড়ান। নন্দীগ্রামের ১৪টি এলাকায় ভো কাট্টা করে দেব। ভোট পেতে পারেন ৩টি এলাকায়। নন্দীগ্রামের জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দু অধিকারীর। নন্দীগ্রামেই দিনকয়েক আগে সভা করে তৃণমূল নেত্রী ভবানীপুরের পাশাপাশি নন্দীগ্রাম থেকেও বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চান বলে জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ভবানীপুর বড় বোন হলে নন্দীগ্রাম মেজ বোন। তখনই বিজেপি সহ বিরোধী শিবিরের একাংশ কটাক্ষ শুরু করে বলে, উনি ভবানীপুরে জিততে পারবেন না জেনে নন্দীগ্রামে দাঁড়াচ্ছেন। শুভেন্দুও বলেন, দুজায়গা থেকে দাঁড়াতে দেব না। এক জায়গা থেকে উনি লড়ুন! মমতা আরও বলেছিলেন, নন্দীগ্রাম তাঁর হৃদয়ে রয়েছে। যা নিয়েও বিদ্রুপ করেছিলেন অধিকারী পরিবারের বড় ছেলে, এককালের রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী। আজ তার পুনরাবৃত্তি করে শুভেন্দু বলেন, মাননীয়ার নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়ে ৫ বছর অন্তর। দুটো কেন, একটা জায়গায় দাঁড়ান তৃণমূলনেত্রী। ১৪টি এলাকায় ভো কাট্টা করে দেব, আমরা প্রস্তুত। উনি তিনটি এলাকায় ভোট পাবেন।
শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদান করার পর ‘হরেকৃষ্ণ হরে হরে, বিজেপি ঘরে ঘরে’ বলে স্লোগান চালু করেছেন, মমতাও পাল্টা স্লোগান তুলেছেন, ‘হরেকৃষ্ণ হরে রাম, বিদায় যাও বিজেপি-বাম’! শুভেন্দুর কটাক্ষ,এখন বিজেপির স্লোগান চুরি করছেন তৃণমূলনেত্রী। তৃণমূল খাটে উঠে গিয়েছে, এখন বলতে হবে হরিবোল, নৌকা ফুটো হয়ে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন শুভেন্দু। সেইসঙ্গে দুর্নীতির প্রশ্নে বিদ্ধ করে তিনি বলেন, মোদিজির পাঠানো করোনা-টিকা চুরি করেছে রাজ্য সরকার।
নন্দীগ্রামে ঘাসফুলকে হাওয়া করে দেবেন, এই হুঙ্কারের সমর্থনে শুভেন্দু বলেন, এখানকার মাটিটা আমি চিনি, পদ্মফুল যার, জিতবে সে। এখানে আমাদের শিকড় গভীরে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি এলাকার ভোটারদের তিনি ডাক দেন, এদেরকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করুন, আমি কাজ শুরু করেছি।
পাশাপাশি শুভেন্দুর ঘোষণা, ভোটের দিন ঘোষণার পর বীজ পুঁতব, ফল ঘোষণার দিন ফসল তুলব!
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজির ১২৫-তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি বলতে ওঠার সময় জয় শ্রীরাম ধ্বনি ওঠার প্রতিবাদে ভাষণ না দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছে বিজেপি। এটা সরকারি অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বলে সওয়াল করে জয় শ্রীরাম স্লোগানে আপত্তি তুলেছিলেন মমতা। পাল্টা শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘জয় শ্রীরাম বলা যাবে না বলছে, মামার বাড়ির আবদার!