পশ্চিম মেদিনীপুর : রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটের আগের রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের বিষ্ণুপুরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ। সংঘর্ষে জখম বেশ কয়েকজন বিজেপি ও এক তৃণমূল কর্মী। তৃণমূলের অভিযোগ, রাতে ক্যাম্প অফিস সাজানোর সময় হামলা চালায় বিজেপি কর্মীরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের অভিযোগ তোলে বিজেপি। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ৩ বিজেপি কর্মীকে আটক করায় সকালে থানায় যান সবংয়ের বিজেপি প্রার্থী অমূল্য মাইতি। সবংয়ে তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুঁইয়া।
সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকটি বাইক ভাঙচুর করা হয়। সেগুলি সবং থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বাইক মিছিল করে এসে বিজেপি তাদের ওপর হামলা চালায়। অন্যদিকে, বিজেপির অভিযোগ, তাদের কর্মীরা সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। উল্লেখ্য, অমূল্য মাইতি তৃণমূলেই ছিলেন। ভোটের আগে দলবদল করে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন।
রাত ১২ টা নাগাদ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ জানিয়েছে, বাইক মিছিল হয়েছিল। সেখান থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত।
উল্লেখ্য, এবার এই আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। লোকসভা ভোটের ফলাফল অনুযায়ী, এই কেন্দ্রে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও বিজেপির থেকে ব্যবধান মাত্র ৬,০০০-এর মতো।
উল্লেখ্য, আজ দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে আজ ৪ জেলার ৩০ আসনে ভোটগ্রহণ। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম, তমলুক, হলদিয়া, মহিষাদল, পাঁশকুড়া-পূর্ব, পাঁশকুড়া-পশ্চিম, ময়না, নন্দকুমার, চণ্ডীপুরে ভোট। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর, চন্দ্রকোনা, ঘাটাল, দাসপুর, খড়গপুর, ডেবরা, পিংলা, সবং, নারায়ণগড়ে ভোটগ্রহণ। বাঁকুড়ার তালডাংরা, বাঁকুড়া, বড়জোড়া, ওন্দা, বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর, ইন্দাস, সোনামুখীতে নির্বাচন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, সাগরেও ভোটগ্রহণ।
এদিন ভোটগ্রহণ শুরুর আগে থেকেই বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনার খবর এসেছে। দ্বিতীয় দফা ভোট শুরুর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী। বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম উত্তম দলুই। মৃতের পরিবারের দাবি, গতকাল রাতে বাড়ি ফিরে খেতে বসেছিলেন ওই তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ, ৩০-৩৫ জন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী জোর করে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়িভাবে কোপানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। এনিয়ে বিজেপির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। খুনের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।