কেশপুর: দ্বিতীয় দফা ভোটের আগের রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটল। দাদপুরে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


মৃতের নাম উত্তম দলুই। পরিবারের দাবি, গতকাল গভীর রাতে বাড়ির সামনেই ওই তৃণমূল কর্মীকে মারধর করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ছুরি দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। বিজেপির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


নিহত উত্তম দলুইয়ের বাড়ির থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়। সেখানে বুধবার রাতে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন হয়েছিল। রান্না করা হয়ে গিয়েছিল। খাওয়াদাওয়া চলছিল। অভিযোগ, সেই সময়ই বিজেপির কর্মী ও সমর্থকেরা উত্তমের ওপর চড়াও হয়। পার্টি অফিস থেকে টানটে টানতে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পার্শ্ববর্তী একটি কালভার্টের কাছে। সেখানেই তাঁর পেটে দুষ্কৃতীরা ছুরে ঢুকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। স্থানী.দের দাবি, পেটে ছুরির ফলা ঢুকে ছিল। হাতলটি খুলে যায়। সেটিকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী বলছেন, 'বিজেপির ৩০-৩৫ জন এসেছিল। কথাবার্তা বলার সময়ই আচমকা ওকে টেনে নিয়ে চলে যায়।'


বাংলা ট্যুইটে বঙ্গবাসীকে রেকর্ড ভোটদানের অনুরোধ নরেন্দ্র মোদির


ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গিয়েছে, চারপাশে চাপ চাপ রক্ত পড়ে রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। সব দিক তদন্ত করে খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। গোটা ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিহত তৃণমূল কর্মী উত্তমকে ছুরি দিয়ে কোপাতে কোপাতে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। দ্বিতীয় দফার ভোট শুরুর মুখে এই হিংসা মেনে নিতে পারছেন না তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। তাঁরা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকা থমথমে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তাঁরা নিরাপত্তার অভাব অনুভব করছেন। যাতে আর কোনও উত্তেজনা তৈরি না হয়, তা নিয়ে সচেষ্ট পুলিশ।