ভোটের আগে তৃণমূলের অনেক নেতা-জনপ্রতিনিধিই বেসুরো গাইছেন। কয়েকজন নেতা ইতিমধ্যেই দলও ছেড়েছেন। স্বাভাবিকভাবে অস্বস্তিতে তৃণমূল। বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় অবশ্য বিদ্রোহী হয়েও সুর নরম করেছেন। এরইমধ্যেই বেসুরো গাইলেন হুগলির উত্তরপাড়ার বিধায়ক।দলের সংগঠনে বদল আনা হলেও কতটা ফলপ্রসু হয়েছে তা নিয়ে সংশয়ে দলেরই বিধায়ক,রাস্তা না হওয়ায় সরকারি কাজ নিয়েও ক্ষোভ দেখালেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।
এ ব্যাপারে তৃনমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বললেন,উনি আমাদের দলের বিধায়ক। উনি যদি কিছু যদি বলে থাকেন তাহলে দলের মধ্যে ফোরাম আছে, সেখান থেকে তার প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে।তবে মুখ্যমন্ত্রী গত দশ বছরে যা কাজ করেছেন তা কেউ করেনিস ভাবেওনি।আর তার পরেও যদি কিছু বাকি থাকে, উনি বলে থাকেন নিশ্চিত ভাবে তা দলের ফোরাম থেকে নির্দেশ এলে সেটা করা হবে।
এর আগেও জেলায় দলের কাজ নিয়ে মুখ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রবীর ঘোষাল।দলের মধ্যে দিলীপ-বিরোধী বলে পরিচিত উত্তরপাড়ার বিধায়ক।২০১৯ লোকসভা ভোটে হুগলিতে খারাপ ফলের পর তপন দাশগুপ্তকে সরিয়ে উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদবকে জেলা সভাপতি করে দল।
সংগঠনের কাজ নিয়ে মুখ খোলেন প্রবীর ঘোষাল, বেচারাম মান্না, অপরূপা পোদ্দাররা।তাদের দলীয় কর্মসূচীতে ডাকা হয় না বলে অভিযোগ করেন।দলের ভ্যন্তরীন কলহ মেটাতে কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়কে চেয়ারম্যান করে মন্ত্রী বিধায়কদের নিয়ে কোর কমিটি করে দেন নেত্রী।তাতেও দ্বন্দ্ব মেটেনি।অন্তত প্রবীর ঘোষালের আজকের মন্তব্য তা স্পষ্ট।তিনি বলেন,উন্নয়নে ঘাটতি থেকে গেছে সেটা মানুষের মধ্যে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরী করেছে।আর সেটা শুধু তার কেন্দ্রে নয়,বিভিন্ন জায়গায়।এগুলোর সমাধান করতে না পারলে ২১ শের লড়াই কঠিন হবে।