গোপাল চট্টোপাধ্যায়, নানুর: কেন্দ্রের কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বীরভূমের নানুর থেকে কীর্ণাহার পর্যন্ত বাইক র‍্যালি করল সিপিএম। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসেরও অভিযোগ তুলেছে তারা। মিছিল করা খারাপ নয়, পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের।


তৃণমূল-বিজেপি দুই দলের বিরুদ্ধে সম দূরত্ব বজায় রেখে বিধানসভা ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামেরা। সেই কারণে রবিবার সকালে কেন্দ্রের কৃষি আইন বাতিলের দাবির পাশাপাশি, তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ তুলে পথে নামল তারা।

এদিন বীরভূমের নানুর থেকে কীর্ণাহার পর্যন্ত বাইক র‍্যালি করেন সিপিএম কর্মী, সমর্থকরা। নেতৃত্বে ছিলেন নানুরের সিপিএম বিধায়ক শ্যামলী প্রধান। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল বলছে বুথে বুথে খেলা হবে। আমরা লড়াই করি রাস্তায় নেমে। ওরা এমএলএ-এমপি-দের নিয়ে খেলাটা বন্ধ করুক। আমরা মানুষের পাশে আছি।’

সিপিএমের বাইক র‍্যালিকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কটাক্ষ, ‘মিছিল করুক ওরা। মিছিল করা ভাল।’

এর দু’ দিন আগে, মল্লারপুর ও ময়ূরেশ্বরে বাইক র‍্যালি করে সিপিএম।

বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষিত না হলেও, সব দলই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পুরোদমে। সংখ্যা নয়, রবিবারই প্রথম আসন ধরে ধরে আলোচনা করলেন বাম-কংগ্রেস নেতারা। কোচবিহার থেকে পূর্ব মেদিনীপুর পর্যন্ত ২৩০টি বিধানসভা আসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বামেরা ১৩১ এবং কংগ্রেস ৭০টি আসনে লড়বে। তবে, এর মধ্যেও কয়েকটা আসন নিয়ে টানাপোড়েন আছে।

এ প্রসঙ্গে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছেন, ‘২৩০টি আসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাকি ৬৪টি আসন নিয়ে আলোচনা পরে হবে। এই মাসের মাঝামাঝি বাকি আসনগুলি নিয়ে আলোচনা হবে।’

মূলত মুর্শিদাবাদ ও পুরুলিয়ার আসন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এই দুই জেলায় শক্তিশালী কংগ্রেস। ফলে, এখানে বেশি আসন ছাড়তে চাইছে না তারা।

সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন,  মুর্শিদাবাদে কিছু আসন আছে, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে আরএসপি লড়াই করছে। আরএসপি-কে অন্তত একটি আসন ছাড়া উচিত। মুর্শিদাবাদে আসন ছাড়ার কথা শুনেই উত্তেজিত হন কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী। এরপরই অধীর চৌধুরী বলেন, আপনারা প্রস্তাব দিন, আলোচনা করে দেখা হবে। পুরুলিয়ার ক্ষেত্রেও কিছু আসনে রদবদল চায় কংগ্রেস।

এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, ‘আলোচনা অসম্পূর্ণ আছে। চার ভাগের তিন ভাগ সমঝোতা হয়েছে। বাকিটা আলোচনার মাধ্যমে হবে।’