কলকাতা: শুরু ভ্যালেন্টাইনস উইক, অর্থাৎ ভালোবাসার সপ্তাহ। আর সদ্য বিয়ের পরেই যদি শুরু হয় ভালোবাসার সপ্তাহ তাহলে তো আর কথাই নেই। ঠিক যেমনটা হয়েছে নীল ভট্টাচার্য আর তৃণা সাহার ক্ষেত্রে। গতকালই বউভাতের অনুষ্ঠান ছিল 'তৃনীল'-এর। প্রেমের সপ্তাহে কী কী পরিকল্পনা রয়েছে ছোটপর্দার 'হিট' জুটির? এবিপি আনন্দকে জানালেন নববধূ।



মোবাইল একবার বাজতে না বাজতেই ধরলেন তৃণা, ভারি গলায় বললেন 'হ্যালো'.. শরীর খারাপ? 'না, গলা ভেঙে গিয়েছে, আওয়াজ বেরোচ্ছে না', একটু হেসে বললেন নায়িকা। তারপর নিজেই গল্প জুড়লেন। মাত্র ২টো দিন কেটেছে শ্বশুরবাড়িতে। কিন্তু তাতেই প্রশংসায় পঞ্চমুখ নতুন বৌমা। বললেন, 'কাল অনেক রাত পর্যন্ত পার্টি চলেছে বাড়িতে। বন্ধুবান্ধব তো বটেই, আমার শ্বশুর-শাশুড়িও ছিলেন। নাচ-গান হয়েছে অনেকটা রাত অবধি।'



বিয়ের পর প্রথম ভ্যালেন্টাইনস উইক। আজ রোজ ডে। তৃণা বলছেন, ' আমার কাছে ভালোবাসার জন্য কোনও বিশেষ দিন হয় না। প্রত্যেকদিনই আমি নতুন করে নীলের প্রেমে পড়ি। তবে প্রত্যেক বছর ভ্যালেন্টাইনস ডেতে আমরা দেখা করি। সেটা বাদ হয় না। আর আমি ফুল খুব ভালোবাসি। তাই প্রতিবছর রোজ ডে তে আমাকে গোলাপ দেয় নীল। এই বছরও আশা করি কিছু পরিকল্পনা করবেই। আমি তো এখন বাইরে!'



বউভাতের পরের দিনই 'বাড়ির বাইরে' নতুন বউ? তৃণা বললেন, 'আমি তো আজ থেকেই শ্যুটিং-এ ফিরলাম। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি একেবারে বন্ধুর মত। আর আমার কাজটাকেও বোঝেন , সম্মান করেন। অন্য যে কোনও বাড়ি হলে এমন করে বিয়ের পরেরদিনই শ্যুট করতে পারতাম কিনা জানি না।' খড়কুটো ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন তৃণা। শ্যুটিং-এ ফিরলেও লুক বদলায়নি তৃণার। কারণ 'খড়কুটো'-র গল্পেও সদ্য বিয়ে হয়েছে 'গুনগুন'-এর।



নীল-তৃণার রাজকীয় বিয়েতে আশীর্বাদ করতে হাজির হয়েছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণার কাছে সেটাই 'বিশাল পাওয়া'। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন তৃণা ও নীলের কাছের বন্ধু ও আত্মীয়রা। তাঁরা সবাই এসেছিলেন নবদম্পতিকে আর্শীর্বাদ করতে। আনন্দে, আলোয় সেই সন্ধ্যায় মেতে উঠেছিল অর্কিড গার্ডেন। তৃণা বললেন, 'আমি খুব কাছের বন্ধুদেরই নিমন্ত্রণ করেছিলাম। আর খুব ভালো লেগেছিল যে প্রায় সবাই এসেছিলেন। তবে দিদি আসবেন ভাবতে পারিনি। উনি এয়ারপোর্ট থেকে সোজা আমার বিয়ের মণ্ডপে চলে আসেন। আমায় আশীর্বাদও করেন।'



রান্না করতে ভালোবাসেন তৃণা। যদিও সময়ের অভাবে রান্নাঘরে কমই যাওয়া হয় গুণগুণের। তৃণার হাতের কোন পদ সবচেয়ে পছন্দ নীলের? তৃণা হেসে বললেন, ' আমি অনেক মিষ্টি পদ বানাই। আমার হাতের নাটেলা চাট নীল খুব ভালোবাসে। যখনই বানাই, প্রায় পুরোটাই খেয়ে নেয় নীল।'



বাড়ি ফিরলে তৃণার জন্য কী অপেক্ষায় থাকবে নীলের গোলাপের তোড়া? 'নিশ্চয়ই জানাব', ফোন ছাড়ার আগে উত্তর দিলেন নববধূ।