পশ্চিম মেদিনীপুর: কেশপুরে ফের ভোট-সন্ত্রাস। ধারাল অস্ত্রের কোপ যুবককে। আহত তাদের দলীয় কর্মী, দাবি বিজেপির। দুপুরে তুলে নিয়ে গিয়ে কোপানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত যুবকের নাম রাজু সাঁতরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
প্রতিক্রিয়া মেলেনি শাসক দলের।
এর আগে, বৃহস্পতিবার ভোট চলাকালীন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ, কেশপুরের গুণহারায় বিজেপি প্রার্থী প্রীতীশরঞ্জন কোনাররের গাড়িতে তাণ্ডব চলে। কোনওরকমে প্রাণে বাঁচেন বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর গাড়ির চালক।
এরপর বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ গুণহারা থেকে এক কিলোমিটার দূরে শ্যামচাঁদপুরে তৃণমূল প্রার্থীর গাড়িতে হামলা হয়। শিউলি সাহার গাড়িতে করে বুথে বুথে ঘুরছিলেন তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট হাবিবুর রহমান। গাড়িতে ছিলেন না প্রার্থী।
অভিযোগ, শ্যামচাঁদপুরে বুথ থেকে ১০০ মিটার দূরে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বাঁশ, লাঠি দিয়ে হামলা চালায় বিজেপির লোকজন। মাথায় ও ডান চোখে গুরুতর চোট পান তৃণমূল প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট।
কেশপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শিউলি সাহা বলেন, বিজেপি হেরে যাবে, তাই সন্ত্রাস করছে, আমাদের কর্মীদের মারধর করছে। এইভাবে ভয় দেখানো যাবে না।
যদিও হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি তন্ময় ঘোষ বলেন, তৃণমূল হেরে যাবে, তাই মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট।
এর আগে, গতকাল রাতে তৃণমূলকর্মীকে পার্টি অফিস থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির দিকে।
অভিযোগের ভিত্তিতে ৭ জন দলীয় সমর্থক গ্রেফতার হলেও, বিজেপির দাবি, নিজেরাই নিজেদের লোককে মেরে সহানুভূতি আদায় করতে চাইছে তৃণমূল।