অলোক সাঁতরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: ভোট মিটলেও পশ্চিম মেদিনীপুরে রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত। সবংয়ে তৃণমূলের মহিলা পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত তৃণমূলের আরও ২ নেতা-কর্মী। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের, হামলা-যোগ  অস্বীকার করে পাল্টা দাবি পদ্ম শিবিরের।


পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে ভোট হয়েছে ১ এপ্রিল। ভোটে শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সবংয়ে রাজনৈতিক অশান্তি। আক্রান্ত তৃণমূলের মহিলা পোলিং এজেন্ট। হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। সবংয়ের ১১ নম্বর অঞ্চলের মিঠাপুর বুথে তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুইঁয়ার পোলিং এজেন্ট ছিলেন ওই মহিলা কর্মী। তৃণমূলের অভিযোগ, শনিবার রাতে ডেবরা বাজার থেকে ফেরার পথে, মহিলার উপর রড-লাঠি নিয়ে চড়াও হয় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।


তাঁকে বাঁচাতে যাওয়ায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা ও এক কর্মীকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পশ্চিম মেদিনীপুরের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ডেবরা বাজার থেকে ফেরার পথে বিজেপি কর্মীরা রড-লাঠি নিয়ে চড়াও হয়...পোলিং এজেন্ট হওয়ার জন্য আক্রোশ...সেই কারণেই হামলা ৷’’


হামলা-যোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। উল্টে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলকেই ঘটনার জন্য দায়ী করেছে তারা। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিজেপি সহ সভাপতি অরূপ দাস জানান, ‘‘মানস ভুঁইয়াকে প্রার্থী করা নিয়ে ওদের দলে ক্ষোভ ছিল...তার জেরে নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল ৷ ’’


মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন তৃণমূলের মহিলা পোলিং এজেন্ট-সহ ৩ জন। সবং থানায় মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার সবং-এরই মোহাড়ে ২৫৬ নম্বর বুথে, তৃণমূলের লোকজন তাঁদের এজেন্টকে বসতে দেননি বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি। সেক্ষেত্রে অভিযোগ নস্যাৎ করে তৃণমূল।