রঞ্জিত হালদার ও হিন্দোল দে: ভোট শুরুই হল না। অথচ তার আগে আরও এক রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি।


দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে তৃণমূল ও সংযুক্ত মোর্চার সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক তৃণমূলকর্মীর। আহত দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন। ঘটনায় গ্রেফতার সংযুক্ত মোর্চার ৭ কর্মী। 


এক বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে, বুধবার উত্তাল হয়ে উঠেছিল কোচবিহারের দিনহাটা। আর ভোট শুরুর দু’দিন আগে, সংঘর্ষের জেরে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায়, বৃহস্পতিবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, বুধবার রাতে সংযুক্ত মোর্চার কর্মীদের হামলায়,মৃত্যু হয়েছে বছর সত্তরের তৃণমূল কর্মী রুহুল আমিন মিদ্যার। 


তৃণমূলের দাবি, তাদের কর্মীদের ওপর লাঠি-রড নিয়ে চড়াও হয় আব্বাস সিদ্দিকির দল আইএসএফ ও সিপিএম কর্মীরা। মারধরের জেরে আহত হন ৫ তৃণমূল কর্মী। এরমধ্যে রুহুল আমিন মিদ্যার আঘাত গুরুতর থাকায়, তাঁকে কলকাতায় মেডিকা হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু হাসপাতালে আনার পরই ওই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। তৃণমূল নেতা তথা নিহতের ভাই নওসার মিদ্যা বলেন, ‘‘আইএসএফ, সিপিএম ও বিজেপি সম্মিলিতভাবে হামলা চালায়, মারধর করে, সংগঠনে আঘাত করার জন্য হামলা ৷’’


দলীয় কর্মীর মৃত্যুর পর, এদিন দুপুরে ঘটনাস্থলে যান তৃণমূল নেতা অরূপ বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, ভোটের আগে হিংসা ছড়াতেই পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। যদিও বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থীর পাল্টা অভিযোগ, তাদের কর্মীদের ওপর তৃণমূলই হামলা চালিয়েছে। বারুইপুর পূর্বের সিপিএম প্রার্থী (সংযুক্ত মোর্চা) স্বপন নস্কর বলেন, ‘‘আমাদের একটা বৈঠক চলছিল, তখন তৃণমূলের লোকজন এসেই আমাদের ওপর হামলা চালায়, আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন, কয়েকজন নিখোঁজও ৷’’


তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগে বেশ কয়েকজন সংযুক্ত মোর্চার কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকা থমথমে থাকায় চলছে পুলিশের টহল। এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী বিভাস সর্দারের সঙ্গে লড়াই বিজেপির চন্দন মণ্ডল আর সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী স্বপন নস্করের।