পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: ৩৭টি পোস্টাল ব্যালট উদ্ধার হল বাঁকুড়ার সিমলাপালের ব্লক অফিসের ড্রপবক্স থেকে। এ বিষয়ে জেলাশাসককে অভিযোগ জানায় তৃণমূল। সব দলের প্রতিনিধির সামনেই খোলা হয় ড্রপবক্স। উদ্ধার হয় ভোট দেওয়া ৩৭টি পোস্টাল ব্যালট। এরপর সেগুলি পুনরায় সিল করে নিয়ে যাওয়া হয় ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের স্ট্রং রুমে।


ভোট হওয়ার পর পোস্টাল ব্যালট রাখার কথা ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের স্ট্রংরুমে। কিন্তু সেই ব্যালটই রাখা ছিল ব্লক অফিসের ড্রপবক্সে। এই নিয়ে বাঁকুড়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী বুধবার অভিযোগ করেন, সিমলাপালের ব্লক অফিসের ড্রপবক্সে বেশ কয়েকটি পোস্টাল ব্যালট রাখা আছে।  


এরপরই জেলা প্রশাসনের তরফে বুধবার রাতে ড্রপবক্সটি পাহারার মধ্যে রাখার ব্যবস্থা হয়।  বৃহস্পতিবার সব দলের প্রতিনিধিদের সামনে খোলা হয় ড্রপবক্স। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ড্রপবক্স থেকে মিলেছে ৩৭টি ভোট দেওয়া পোস্টাল ব্যালট। এরপর সেগুলি সিল করা অবস্থায় খাতড়ায় ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের স্ট্রংরুমে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়।  


ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে।  জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপিও। যদিও জেলা প্রশাসনের তরফে কেউ এ নিয়ে মুখ খোলেনি।  তবে সিমলাপাল বিডিও অফিস সূত্রে দাবি,  দফতরের কর্মীরাই ওই পোস্টাল ব্যালটগুলি ব্লক অফিসের ড্রপবক্সে রেখেছিলেন।


এদিকে ভোটের দিন সকালে টাকা দিয়ে মানুষকে প্রভাবিত করার অভিযোগ কসবার বিজেপি প্রার্থী ইন্দ্রনীল খাঁ-র বিরুদ্ধে। তার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ইন্দ্রনীলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। ইন্দ্রনীল যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।


শনিবার সকাল ৭টায় চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। কসবায় কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশও মোতায়েন ছিল। তার মধ্যেই সকাল সকাল তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে ঝামেলা বাধে। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটের সকালে বস্তিতে প্রচারে নামেন ইন্দ্রনীল। সেখানে গিয়ে নিজের পকেট থেকে বেশ কয়েক জনের হাতে ১০০০ টাকা করে গুঁজে দেন তিনি।