ঝিলম করঞ্জাই ও রুমা পাল, কলকাতা: রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আবহে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হল। সোমবার শুনানির সম্ভাবনা। করোনা নিয়ে সতর্ক করে রাজনৈতিক দলগুলিকে চিঠি দিয়েছে ওয়েস্টবেঙ্গল ডক্টরর্স ফোরাম।


সর্বগ্রাসী...! ভয়ঙ্কর...! আরও ভয়াবহ! প্রথমবারের তুলনায় আরও মারাত্মক হয়ে ফিরে এসেছে করোনা! দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে লকডাউন পিরিয়ডের রেকর্ডও ভেঙে যাচ্ছে এখন। পাল্লা দিয়ে রাজ্যেও বাড়ছে করোনার প্রকোপ!


এই অবস্থায়, বঙ্গ ভোটের মধ্যে সব দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতা-নেত্রীরা ভোটে মজে রয়েছেন। করোনাকালে মিটিং-মিছিল ৷ জনসভায় লাগামছাড়া ভিড় হচ্ছে! মানা হচ্ছে না, করোনাবিধি ! এই প্রেক্ষাপটে, এবার মাঠে-ময়দানে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানিয়ে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। সোমবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। 


এদিকে, শুক্রবার কমিশনের চিঠির জবাব দিল ওয়েস্টবেঙ্গল ডক্টরর্স ফোরাম। সম্প্রতি ভোট প্রচারে করোনা বিধি উপেক্ষিত হচ্ছে বলে কমিশনে অভিযোগ করে চিকিৎসকদের সংগঠন। তার প্রেক্ষিতে, তথ্য চেয়ে পাঠায় কমিশন। এদিন, তথ্য তুলে ধরে, কোথায় করোনা বিধি অমান্য হয়েছে তা জানাল ওয়েস্টবেঙ্গল ডক্টরর্স ফোরাম৷ এদিকে, দেশজুড়ে করোনার দ্বিতীয় সুনামি আছড়ে পড়লেও, ট্রেন চলাচল বন্ধ করার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান সুনীত শর্মা বলেন, ‘আপাতত ট্রেন কমানোর কোনও সম্ভাবনা নেই।’


মেট্রো রেল ইতিমধ্যেই, মাস্ক না পরলে জরিমানার কথা ঘোষণা করেছে। চতুর্থ দফার ভোটের মুখে এবার পূর্ব রেল ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফেও কঠোরভাবে করোনাবিধি প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে।  পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মনোজ জোশী জানান, ‘‘আবেদনে কাজ না হলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন হাতে রয়েছে। ’’


দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার অনুপম শর্মা বলেন, এখনই রেল বন্ধের সম্ভাবনা নেই, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইন কঠোরভাবে পালন করতে হবে।


স্টেশন চত্বরে ভিড় কমাতে, মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি, লোকমান্য তিলক টার্মিনার্স-সহ পাঁচটি স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।