বাগদা : উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় ষষ্ঠ দফা ভোটের দিন গন্ডগোলের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বাগদার রণঘাট এলাকায় গতকাল ওই অশান্তির ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে দাবি, গন্ডগোলের খবর পেয়ে বাগদা থানার ওসি ঘটনাস্থলে যান। তাঁকে ঘিরে ধরে কয়েকজন গ্রামবাসী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। কমিশনও ঘটনায় পুলিশের গুলি চালানোর কথা জানায়।
পুলিশ সূত্রে দাবি, ওসি এবং তাঁর দেহরক্ষীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। সেই সময় ওসিকে বাঁচাতে তিন রাউন্ড গুলি চালানো হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, পুলিশের গুলিতে কয়েকজন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। গ্রামবাসীরা পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
কমিশন জানিয়েছে, প্রথমে বাগদার সেক্টর অফিসে হামলা হয়। হামলা করে একটি রাজনৈতিক দলের শতাধিক কর্মী। ওসির নেতৃত্বে এলাকায় পুলিশ গেলে বচসা বাঁধে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে এলাকা বাসী। কমিশনের মতে হামলাকারীদের হাতে ছিল ধারাল অস্ত্র। ছত্রভঙ্গ করতে তিন রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হন এক ব্যক্তি। আহত বাগদার ওসি সহ তিন পুলিশকর্মী।
শীতলকুচির ছায়া এবার উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায়। ফের ওঠে গুলি চালানোর অভিযোগ! তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, এখানে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে! আর এই ঘটনা ঘিরেই ষষ্ঠ দফার ভোটের একেবারে শেষ লগ্নে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় বিগদা বিধানসভার রণডাঙা এলাকায়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বাগদা বিধানসভার রণডাঙার একাধিক জায়গায় বিজেপির ক্যাম্প অফিস এবং বিজেপি কর্মীদের দোকানে ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে! গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এরপর সাড়ে ১২টা নাগাদ ৩৫ ও ৩৬ নম্বর বুথের বাইরে এসে ফের বেধড়ক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। অভিযোগ হুমকি দেওয়া হয় গ্রামবাসীদের। '' পুলিশ হুমকি দেয়, যার বাড়ির উঠোনে বিজেপির ক্যাম্প অফিস হয়েছে, তাকে মামলা দেবে...লাঠিচার্জ করে...মারে....''
প্রতিরোধ গড়ে তোলেন গ্রামবাসীদের একাংশ! তখন থেকেই উত্তেজনা বাড়ছিল! গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দুপুর তিনটে নাগাদ ফের ৩৫ নম্বর বুথ এলাকায় ঢোকে ১০-১২ গাড়ি পুলিশ।এরপরেই রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে!