রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ে আব্বাস অনুগামীকে মারধর, বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আব্বাসের সভায় যাওয়ার পথেই শাসকদলের হামলা, দাবি আইএসএফ কর্মীর। পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই ঘটনা। রাজনীতি-যোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি ঘাস-ফুল শিবিরের। ঘটনায় দুই তৃণমূল কর্মী-সহ এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


রাজনীতির-রোষে পুড়ল বাড়ি। ভাঙড়ে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য আব্বাস সিদ্দিকির সভার পরেই এক আইএসএফ কর্মীকে মারধর করে বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জে সংযুক্ত মোর্চার সমর্থনে সভা করেন বিমান বসু ও আব্বাস সিদ্দিকি।


অভিযোগ, রাতে আইএসএফ কর্মী আজিত মোল্লার বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। মারধরের পর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।আইএসএফ কর্মীর পরিবারের দাবি, আব্বাসের সভায় যাওয়ার কারণেই হামলা। ভাঙড়ের আইএসএফ কর্মী মহম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘‘ভাইজানের মিটিংয়ে গিয়েছিলাম। বাড়ি ফেরার পর তৃণমূল আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। বাবাকে রড, লাঠি দিয়ে মারে। আইএসএফ করি বলেই এই হামলা ৷’’


এই ঘটনায় দুই তৃণমূল কর্মী-সহ ভাঙড় থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও রাজনীতি-যোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ভাঙড় ১ নং ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শাহজাহান মোল্লা বলেন, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ। এটা পারিবারিক বিবাদের জেরে হয়েছে। আমাদের দুই কর্মী গ্রেফতার হওয়ায় পুলিশকে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে বলছি ৷’’


উল্লেখ্য, এর আগে গত ৭ মার্চ তৃণমূল-আইএসএফ সংঘাতে উতপ্ত হয় ভাঙড়। দেওয়াল দখল ও দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে অশান্তি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলা ও মারধরের অভিযোগ এনেছে আব্বাস সিদ্দিকির দল। আইএসএফের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার অভিযোগে সরব হয় ঘাসফুল শিবিরও।


ভাঙড় বিধানসভায় সংযুক্ত মোর্চার হয়ে লড়ছেন আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য আব্বাস সিদ্দিকির ভাই নৌশাদ সিদ্দিকি। তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন চিকিত্সক রেজাউল করিম। বিজেপি প্রার্থী সৌমি হাতি। ১০ এপ্রিল এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ।