কলকাতা: ব্রিগেডের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, 'স্কুটি নন্দীগ্রামেই পড়ে যাবে ঠিক করেছে, আমি কী করব।' বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথাতেও ছিল প্রচ্ছন্ন হুমকি। দিলীপ নিজের ফেসবুক পেজে ছবি দিয়ে বিদ্রুপ করেছিলেন যে, নন্দীগ্রামে পড়ে যাবেন মমতা।


নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর পরিকল্পিতভাবে 'হামলা' হয়েছে বলে ফের দাবি করল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির শীর্ষ নেতাদের কথাতে সেই হুঁশিয়ারি ছিল বলেও দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। এবং গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে এবার নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠাল তৃণমূল কংগ্রেস।


শুক্রবার নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা হয়েছিল। তবে যড়যন্ত্রকারীরা তাদের লক্ষ্যপূরণ করতে পারেনি। গোটা ঘটনার নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূলের চিঠিতে।


তৃণমূলের অভিযোগের চেয়েও চাঞ্চল্যকর হচ্ছে, কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও! বলা হয়েছে, ব্রিগেডে জনসভা থেকে মোদি বলছিলেন, মমতার স্কুটি নন্দীগ্রামে উল্টে যাবে মনস্থ করে ফেললে আমি কী করব! তৃণমূল অভিযোগ করেছে, এই মন্তব্যেরও তদন্ত করে দেখা উচিত। গোটা ঘটনার কোনও ইঙ্গিত কি ছিল মোদির মন্তব্যে? এমনই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।


পাশাপাশি রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৮ মার্চ একটি ব্যঙ্গচিত্র শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই কার্টুনে মমতাকে নন্দীগ্রামে ধরাশায়ী অবস্থায় দেখানো হয়েছিল। প্রায় একই সময়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে সরানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। তার পরের দিনই, অর্থাৎ ৯ মার্চ রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই ডিজিকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। দুটি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের।


পাশাপাশি বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র একটি ট্যুইটের জবাবে ৯ মার্চ রাতে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ লেখেন, কাল বিকেল ৫টার পর বুঝতে পারবে। সেই ট্যুইটের স্ক্রিনশটও নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে তৃণমূল। এবং জোরালভাবে দাবি করেছে, পুরোটাই চক্রান্ত। এর নিরপেক্ষ ও সরেজমিনে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।