সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল ও বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে সিপিএম ভরসা রেখেছে দেবদূত ঘোষের উপর। জোরদার প্রচার করছেন টালিগঞ্জের তারকা প্রার্থী। প্রচারে দিনভর তরতাজা থাকার আসল রহস্যটা কী? সেই কথা উঠে এল এবিপি আনন্দের ‘পাওয়ার মিল’-এ।


১০ এপ্রিল, টালিগঞ্জে জমজমাট ভোট-লড়াই। তুঙ্গে প্রচার। বিজেপি-র প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় ও তৃণমূলের প্রার্থী বিদায়ী বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর সঙ্গে টক্কর দিয়ে লড়াই করার জন্য এবার এই কেন্দ্রে তারকা প্রার্থী দেবদূত ঘোষের ওপরই বাজি রেখেছে সিপিএম। 


জীবনের চিত্রনাট্যে নতুন ভূমিকায় নেমে উৎসাহিত টালিগঞ্জের অভিনেতা। তবে ভোটের এই উত্তেজনার মধ্যে পেট ঠান্ডা রাখার ব্যাপারটাও ভাবতে হচ্ছে ঠান্ডা মাথায়। সংযুক্ত মোর্চা (সিপিএম) প্রার্থী দেবদূত ঘোষ বলেন, ‘‘শুটিংয়ে যাওয়ার সময় ক্যান্টিনের খাবার খেতাম, বাড়ি থেকে খাবার নেওয়ার অভ্যেস। এখনও খাবার নিয়ে যাচ্ছি, রোজই দুপুরে দই দিয়ে চিঁড়ে মেখে খাচ্ছি ৷’’


দেবদূত ঘোষের মধ্যাহ্নভোজের মেনুতে রকমারি পদ নয়, রোজই থাকে দই-চিঁড়ে। টক দইতে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড। যা এটি হজমে সহায়তা করে। তাছাড়া এর মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। আর চিড়েয় থাকে প্রোটিন, খনিজ, ভিটামিন বি ও ফাইবার।


প্রচারের মাঝে গরমে গলা শুকিয়ে গেলে ভরসা স্ত্রী-র দাওয়াই। পকেট থেকে লজেন্স বের করে মুখে পুরে দিচ্ছেন কখনও কখনও।মাঝে মধ্যে যে ভুলেও যাচ্ছেন না তা নয়। দেবদূত ঘোষের মতে, ‘‘পকেটে লজেন্স স্ত্রী দিয়ে দিলেও ভুলে যাচ্ছি। গলে পকেটে লেগে যাচ্ছে সেই লজেন্স।’’


ভোটের প্রথম দফা শেষ। সামনেই দ্বিতীয় দফা। পারদ চড়ছে, সেই সঙ্গে চড়া হচ্ছে চৈত্রের রোদ। দিনের বেলায় দই-চিঁড়েতেই উদরপূর্তি করলেও রাতের খাবারটা কান বাড়ি ফিরে।


রাতের পাতে ভাতই পছন্দ অভিনেতার।  মেনুতে থাকছে-- ভাত, ডাল, তরকারি, মাছ বা মাংস। রাতে কখনও কখনও খান নিরামিষ খাবার। 
পুষ্টিবিদদের মতে, ভাত প্রধানত শর্করা সরবরাহ করে। শরীরে প্রোটিনের জোগান দেয় ডাল। সব্জিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। মাছে থাকে ভিটামিন-এ এবং বিপুল পরিমাণে ক্যালসিয়াম।এই সব থেকেই শক্তি পাচ্ছেন দেবদূত। ঝড় তুলছেন প্রচারে।